ACS BANGLA | এ সি এস বাংলা Wb Class 5 : ক্লাস 5 বাংলা অনুচ্ছেদ রচনা/ প্রবন্ধ রচনা | সাজেশন কমন গ্যারান্টি

Wb Class 5 : ক্লাস 5 বাংলা অনুচ্ছেদ রচনা/ প্রবন্ধ রচনা | সাজেশন কমন গ্যারান্টি

0

ক্লাস 5 অনুচ্ছেদ রচনা


     


প্রবন্ধের প্রশ্নতালিকা


🌟 ১. শীতকাল — অনুচ্ছেদ রচনা কর।

🌟 ২. শরৎকাল — অনুচ্ছেদ রচনা কর।

🌟 ৩. বাংলার উৎসব — প্রবন্ধ লিখ।

🌟 ৪. পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার — প্রবন্ধ লিখ।

🌟 ৫. গাছ আমাদের বন্ধু — প্রবন্ধ লিখ।

🌟 ৬. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর — প্রবন্ধ লিখ।

🌟 ৭. বিদ্যালয় জীবনে খেলাধুলার ভূমিকা — প্রবন্ধ লিখ।

🌟 ৮. জগদীশচন্দ্র বসু — প্রবন্ধ লিখ।

🌟 ৯. তোমার দেখা একটি মেলা — রচনা লিখ।

🌟 ১০. একটি বৃষ্টির দিন — রচনা লিখ।

🌟 ১১. বিদ্যালয় গ্রন্থাগারের ভূমিকা — প্রবন্ধ লিখ।

🌟 ১২. দুর্গাপূজো — রচনা লিখ।

🌟 ১৩. একটি গ্রাম ও শহরের আত্মকথা — প্রবন্ধ লিখ।

🌟 ১৪. স্বামী বিবেকানন্দ — প্রবন্ধ লিখ।



শীতকাল 

প্রশ্নমান 10

ভূমিকা:
শীতকাল বাংলার ছয় ঋতুর মধ্যে এক বিশেষ মনোরম ঋতু। এই সময় প্রকৃতি তার নিজস্ব সৌন্দর্যে নতুন রূপে ধরা দেয়। শীতের সকাল, কুয়াশা, রোদের উষ্ণতা—সব মিলিয়ে এই ঋতুর পরিবেশ অনন্য।

• কুয়াশাময় সকাল
শীতের সকালে ঘন কুয়াশায় চারপাশ ঢেকে যায়। দূরের জিনিস দেখা যায় না। ঠান্ডা হাওয়ায় মানুষজন গরম কাপড় পরে বের হয়।

• ঘাসের ওপর শিশিরবিন্দু
ভোরবেলায় ঘাসের পাতায় মুক্তোর মতো ঝকঝকে শিশির পড়ে। সূর্যের আলো পড়লে এগুলো আরও সুন্দর লাগে।

• পাখিদের আচরণ
অনেক বিদেশি পাখি শীতে আমাদের দেশে আসে। সকালবেলায় বিভিন্ন পাখির ডাক শীতের পরিবেশকে আরও মনোরম করে তোলে।

• শীতকালীন সবজি
এই ঋতুতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, পালং—এমন নানা সবজি বাজারে পাওয়া যায়। এগুলো তাজা ও স্বাদে ভরপুর।

• পিঠেপুলি ও উৎসব
শীতকাল এলেই ঘরে ঘরে নানারকম পিঠেপুলির সুবাস ভেসে আসে। পৌষসংক্রান্তি বা নবান্ন উৎসব শীতের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

• স্বাস্থ্যকর পরিবেশ
শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় রোগবালাই তুলনামূলক কম হয়। গরম রোদে বসে শরীর উষ্ণ করা খুব স্বস্তিদায়ক।

উপসংহার:
শীতকাল শুধু ঠান্ডার ঋতু নয়; এটি প্রকৃতির সৌন্দর্য ও মানুষের আনন্দের এক অনন্য সময়। শীতের কুয়াশা, রোদ, পিঠে, উৎসব—সব মিলিয়ে এই ঋতু আমাদের জীবনে বিশেষ আনন্দ এনে দেয়।

শরৎকাল
ভূমিকা:
শরৎকাল বর্ষার পর প্রকৃতির নতুন সাজ। এই ঋতুতে আকাশ পরিষ্কার হয়, বাতাসে থাকে স্বচ্ছতা, আর পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে উৎসবের আমেজ। বাংলার ছয় ঋতুর মধ্যে শরৎকাল তার সৌন্দর্যের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত।

মূল অংশ (পয়েন্ট ও ব্যাখ্যা):

• পরিষ্কার নীল আকাশ
শরতের আকাশ অত্যন্ত স্বচ্ছ ও নীল। মেঘহীন আকাশের নিচে প্রকৃতি যেন আনন্দে ভরে ওঠে।

• তুলোর মতো সাদা মেঘ
এই সময়ে আকাশে ভাসতে থাকে তুলোর মতো সাদা মেঘ। অনেকে একে “কাশের ফুলের মতো মেঘ” বলে থাকে। এই দৃশ্য শরৎকে আরও সুন্দর করে তোলে।

• ধবল কাশফুল
নদীর তীরে, খোলা মাঠে কাশবন দুলতে থাকে। কাশফুল শরৎকালের এক অনন্য পরিচয়—সাদা ফেনার মতো দেখতে।

• উৎসবের আমেজ
দুর্গাপূজার আগমন শরৎকালকে উৎসবমুখর করে। পুজোর ঢাক, আলো, আনন্দের পরিবেশ এই ঋতুকে মানুষের মনে বিশেষ করে তোলে।

• মনোরম পরিবেশ
বর্ষার জ্বালা কমে গিয়ে পরিবেশ হয় মনোরম ও শীতল। ভিজে মাটি শুকিয়ে গিয়ে চারপাশে থাকে পরিচ্ছন্নতা।

• পাখিদের আনন্দ
শরতের রোদ ও শান্ত পরিবেশে পাখিরা আনন্দে গান করে। সকালবেলায় তাদের ডাক প্রকৃতিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।

উপসংহার:
শরৎকাল প্রকৃতির নির্মল সৌন্দর্যের ঋতু। নীল আকাশ, সাদা মেঘ, কাশফুল আর উৎসবের আবহ—সব মিলিয়ে শরৎকাল আমাদের জীবনে এনে দেয় এক অন্যরকম আনন্দ ও প্রশান্তি।

বাংলার উৎসব
(ভূমিকা + পয়েন্ট + উপসংহার)
প্রশ্নমান ১০

ভূমিকা:
বাংলা সংস্কৃতি উৎসব-অনুষ্ঠানে ভরপুর। এখানে বছরের প্রায় প্রতিটি ঋতুতেই বিভিন্ন উৎসব পালিত হয়। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষ একই আনন্দে অংশগ্রহণ করে। বাংলার উৎসব তাই মানুষের আবেগ, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও মিলনের প্রতীক।

মূল অংশ (পয়েন্ট ও ব্যাখ্যা):

• দুর্গাপূজা
বাংলার সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। শরৎকালে মা দুর্গার আগমনে চারদিকে আনন্দের পরিবেশ ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিমা, প্যান্ডেল, ঢাক, আলো—সব মিলিয়ে এই উৎসব বাংলার পরিচয়ের অংশ।

• পৌষ ও নবান্ন
নবান্ন হলো ফসল তোলার আনন্দ। নতুন ধানের সুবাসে ঘরে ঘরে পিঠেপুলির উৎসব হয়। কৃষক সমাজের এই উৎসব বাংলার মাটির গন্ধ বহন করে।

• ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আজহা
বাংলার মুসলিম সম্প্রদায় আনন্দ ও মিলনের সঙ্গে ঈদ পালন করেন। নতুন পোশাক, বিশেষ খাবার, নামাজ—সব মিলিয়ে ঈদ সবার জীবনে আনন্দ বয়ে আনে।

• সরস্বতী পূজা
শিক্ষার্থীদের কাছে এটি বিশেষ উৎসব। বিদ্যার দেবী সরস্বতীর আরাধনা করা হয়। স্কুল, কলেজ, বাড়ি—সব জায়গায় আনন্দে মেতে ওঠে সবাই।

• দোলযাত্রা ও হোলি
বসন্তের আগমনে রঙের উৎসব হোলি। রঙে রঙে ভরে ওঠে প্রকৃতি ও মানুষের মন। এটি ভ্রাতৃত্বের প্রতীক।

• রথযাত্রা
ভগবান জগন্নাথের রথযাত্রা বাংলার একটি প্রাচীন উৎসব। রথ টানা, মেলা ও ভক্তদের সমাগম—সব মিলিয়ে এটি অত্যন্ত জনপ্রিয়।

• চৈত্র সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ (পহেলা বৈশাখ)
পুরোনো বছরের বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয় এই উৎসবে। মঙ্গল শোভাযাত্রা, হালখাতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান—সব মিলিয়ে এটি বাঙালির জীবনের বড় উৎসব।

উপসংহার:
বাংলার উৎসব কেবল আনন্দ নয়—এগুলি আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সমাজজীবনের প্রতিচ্ছবি। এই উৎসবই বাঙালিকে একত্রিত করে, ভালোবাসতে শেখায় এবং মানবিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করে। বাংলার উৎসব তাই চিরন্তন।

পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার
(ভূমিকা + পয়েন্ট + ব্যাখ্যা + উপসংহার)
প্রশ্নমান ১০

ভূমিকা:
পরিবেশ হলো আমাদের চারপাশের সবকিছু—বায়ু, পানি, মাটি, গাছপালা ও জীবজন্তু। মানুষের অসচেতন কার্যকলাপের ফলে পরিবেশ ক্রমশ দূষিত হচ্ছে। পরিবেশ দূষণ আজ বিশ্বব্যাপী এক বড় সমস্যা।

মূল অংশ (পয়েন্ট ও ব্যাখ্যা):

• বায়ুদূষণ
কারখানা, মোটরগাড়ির ধোঁয়া ও জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বায়ু দূষিত হয়। এর ফলে শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, ফুসফুসের রোগ বাড়ে।

• জলদূষণ
কারখানার বর্জ্য, রাসায়নিক সার, পলিথিন, নোংরা জল নদী-খাল-বিলে পড়লে জলদূষণ হয়। এতে মাছ-মত্স্য জীবন নষ্ট হয় এবং মানুষের পানীয় জলও বিপদজনক হয়ে ওঠে।

• শব্দদূষণ
হর্ন, মাইক, নির্মাণকাজ ও কারখানার আওয়াজে শব্দদূষণ হয়। এতে মাথাব্যথা, শ্রবণশক্তি ক্ষয়, মানসিক বিরক্তির মতো সমস্যা দেখা দেয়।

• ভূমিদূষণ
প্লাস্টিক, পলিথিন, দূষিত বর্জ্য ও জমি ক্ষয় ভূমিদূষণ ঘটায়। এতে মাটির উর্বরতা কমে যায় এবং কৃষিকাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

• বন উজাড়
অতিরিক্ত গাছ কাটার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ঝড়, খরা, বন্যা বেড়ে যায় এবং প্রাণীজগত বিপন্ন হয়।

প্রতিকার (পয়েন্ট ও ব্যাখ্যা):

• বৃক্ষরোপণ
অধিক গাছ লাগালে দূষিত বায়ু পরিশুদ্ধ হয় এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকে।

• প্লাস্টিক ব্যবহার কমানো
একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক কমিয়ে কাপড়ের ব্যাগ, কাগজের ব্যাগ ব্যবহার করা উচিত।

• কারখানার বর্জ্য পরিশোধন
দূষণকারী বর্জ্য নদীতে বা মাটিতে ফেলার আগে আধুনিক পরিশোধন ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিষ্কার করতে হবে।

• পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
রাস্তা, পুকুর, নদী ও আশপাশ পরিষ্কার রাখতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। ময়লা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে।

• পরিবেশবান্ধব জ্বালানি
সোলার, বায়ু, জলবিদ্যুৎ—এসব ব্যবহার করলে দূষণ কম হয়।

• সচেতনতা বৃদ্ধি
স্কুল, সমাজ ও মিডিয়ার মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষার গুরুত্ব সবাইকে বোঝাতে হবে।

উপসংহার:
পরিবেশ দূষণ রোধ করা আমাদের সবার দায়িত্ব। আমরা যদি সচেতন হয়ে প্রকৃতিকে রক্ষা করি, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ পাবে। প্রকৃতি বাঁচলে—আমরাও বাঁচব।

গাছ আমাদের বন্ধু
(ভূমিকা + পয়েন্ট + ব্যাখ্যা + উপসংহার)
প্রশ্নমান ১০

ভূমিকা:
গাছ প্রকৃতির অমূল্য সম্পদ। মানুষের জীবনে গাছের গুরুত্ব অপরিসীম। গাছ শুধু আমাদের অক্সিজেনই দেয় না, আমাদের জীবনের সাথে নানা ভাবে জড়িয়ে আছে। তাই গাছকে মানুষের সত্যিকারের বন্ধু বলা হয়।

মূল অংশ (পয়েন্ট ও ব্যাখ্যা):

• অক্সিজেন সরবরাহ
গাছ বায়ু পরিশুদ্ধ করে আমাদের জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন দেয়। এ কারণে গাছ ছাড়া মানুষের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না।

• ছায়া ও শীতলতা
রোদে বা গরমে গাছ আমাদের ছায়া দেয়। পরিবেশকে শীতল রাখে এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

• খাদ্য ও ফল
গাছ থেকে আমরা বিভিন্ন ফল, শাকসবজি, বাদাম ও নানা রকম খাদ্য পাই। এগুলো আমাদের শরীরের পুষ্টির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

• কাঠ ও ঔষধি গাছ
বাড়ি নির্মাণ থেকে শুরু করে আসবাবপত্র তৈরিতে কাঠ লাগে—যা গাছ থেকেই পাওয়া যায়। অনেক গাছের পাতায়, ছালে, ফলে মূল্যবান ওষুধ তৈরি হয়।

• মাটির ক্ষয় রোধ
গাছের শিকড় মাটিকে ধরে রাখে। এতে বন্যা, ভূমিক্ষয় ও নদীর পাড় ভাঙা কমে যায়।

• প্রাণীজগতের আবাসস্থল
অনেক পশুপাখির ঘর গাছ। তারা গাছে বাসা বাঁধে, খাদ্য পায় এবং সুরক্ষা পায়।

• পরিবেশের ভারসাম্য
গাছ কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে বায়ু পরিষ্কার রাখে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকে।

উপসংহার:
গাছ আমাদের সেরা প্রাকৃতিক বন্ধু—এটি আমাদের রক্ষা করে, পুষ্টি দেয় এবং পরিবেশকে বাঁচিয়ে রাখে। তাই প্রতিটি মানুষের উচিত বেশি করে গাছ লাগানো ও সংরক্ষণ করা, যাতে আমাদের পৃথিবী আরও সুন্দর ও বাসযোগ্য হয়।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(ভূমিকা + পয়েন্ট + ব্যাখ্যা + উপসংহার)
প্রশ্নমান ১০

ভূমিকা:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ্বমঞ্চে পৌঁছে দিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সংগীতকার, শিক্ষাবিদ ও দার্শনিক—এক কথায় বহু প্রতিভার অধিকারী। বাঙালি সংস্কৃতির অমর প্রতীক এই মহান ব্যক্তিত্ব।

মূল অংশ (পয়েন্ট ও ব্যাখ্যা):

• জন্ম ও পরিবার
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ সালের ৭ মে কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঠাকুর পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান ছিলেন।

• সাহিত্যসাধনা
কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাস, নাটক—সবক্ষেত্রেই তিনি অসাধারণ প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। 'গীতাঞ্জলি', 'গোরা', 'ঘরে-বাইরে', 'চিঠিপত্রিকা'—সবই তাঁর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি।

• নোবেল পুরস্কার
১৯১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। বাংলা ভাষায় তিনি প্রথম এবং ভারতবর্ষের প্রথম নোবেলজয়ী।

• রবীন্দ্রসংগীত
তিনি প্রায় দুই হাজারের বেশি গান রচনা করেন, যা রবীন্দ্রসংগীত নামে পরিচিত। তাঁর গান মানুষকে আনন্দ, শান্তি, আশা ও মানবতার পথে পরিচালিত করে।

• শিক্ষাদর্শ
শান্তিনিকেতনে তিনি বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর শিক্ষা-পদ্ধতি ছিল প্রকৃতি-ভিত্তিক ও মুক্তচিন্তার উপর নির্ভরশীল।

• দেশপ্রেম
রবীন্দ্রনাথ মানবতা ও দেশপ্রেমে গভীরভাবে বিশ্বাস করতেন। তাঁর লেখা 'জনগণমন' ভারতের জাতীয় সঙ্গীত এবং 'আমার সোনার বাংলা' বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত।

• মানবতাবাদ
তিনি মানুষের ভেদাভেদ, জাতিভেদ, ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তাঁর সাহিত্য মানুষকে ভালোবাসতে শেখায়।

উপসংহার:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু একজন কবি নন; তিনি বাংলা সংস্কৃতির আত্মা। তাঁর রচনা আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক ও অনুপ্রেরণাদায়ক। বিশ্ব সাহিত্যে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় এবং অমর হয়ে থাকবে।

বিদ্যালয় জীবনে খেলাধুলার ভূমিকা
(ভূমিকা + পয়েন্ট + ব্যাখ্যা + উপসংহার)
প্রশ্নমান ১০

ভূমিকা:
বিদ্যালয় জীবনে খেলাধুলা শিক্ষা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শুধু পড়াশোনাই নয়, শারীরিক, মানসিক ও নৈতিক বিকাশের জন্য খেলাধুলার ভূমিকা অপরিসীম। বিদ্যালয়ে নিয়মিত খেলাধুলা শিক্ষার্থীদের সুস্থ, সক্রিয় ও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।

মূল অংশ (পয়েন্ট ও ব্যাখ্যা):

• শারীরিক সুস্থতা বৃদ্ধি
খেলাধুলা শরীরকে সক্রিয় রাখে। দৌড়, লাফ, ব্যায়াম—এসব কার্যকলাপ রক্তসঞ্চালন ভালো করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

• মানসিক বিকাশ
খেলাধুলা শিক্ষার্থীদের মন ভালো রাখে, দুশ্চিন্তা কমায় এবং মনোযোগ বাড়ায়। এতে পড়াশোনার ফলও উন্নত হয়।

• নিয়মশৃঙ্খলা শেখা
খেলাধুলায় নিয়ম মেনে চলা বাধ্যতামূলক। এর ফলে শিক্ষার্থীরা শৃঙ্খলা, সময়ানুবর্তিতা ও দায়িত্ববোধ শিখে।

• দলগত কাজের দক্ষতা
ফুটবল, ক্রিকেট, কাবাডির মতো খেলায় দলগত কাজ শিখতে হয়। এতে পারস্পরিক সহযোগিতা, নেতৃত্ব, বিনয় ও সহমর্মিতা তৈরি হয়।

• আত্মবিশ্বাস বাড়ানো
জয়-পরাজয়ের অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের দৃঢ় করে। সাফল্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ে, আর পরাজয় সাহস ও ধৈর্য শেখায়।

• নৈতিক শিক্ষা
খেলাধুলা শিক্ষার্থীদের স্পোর্টসম্যানশিপ, সততা, সম্মান ও সহনশীলতার মতো মূল্যবোধ গড়ে তোলে।

• সামাজিক মেলামেশা
খেলাধুলার মাধ্যমে বন্ধুত্ব তৈরি হয়। সামাজিক যোগাযোগ বাড়ে এবং একে অপরের প্রতি সমঝোতা শেখা যায়।

• শারীরিক দক্ষতা উন্নয়ন
গতি, শক্তি, সহনশীলতা, ভারসাম্য ও চোখ-হাতের সমন্বয়—এসব দক্ষতা খেলাধুলার মাধ্যমে বৃদ্ধি পায়।

উপসংহার:
বিদ্যালয় জীবনে খেলাধুলা শিক্ষা ও জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি শিক্ষার্থীদের সুস্থ, আত্মবিশ্বাসী, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও সুশিক্ষিত মানুষ হতে সাহায্য করে। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি নিয়মিত খেলাধুলার সুযোগ বিদ্যালয়ে থাকা অত্যন্ত জরুরি।


জগদীশচন্দ্র বসু
(ভূমিকা + পয়েন্ট + ব্যাখ্যা + উপসংহার)
প্রশ্নমান ১০

ভূমিকা:
জগদীশচন্দ্র বসু ছিলেন ভারতের অন্যতম মহান বিজ্ঞানী। পদার্থবিদ্যা, উদ্ভিদবিজ্ঞান ও বেতারযিজ্ঞানে তাঁর অবদান বিশ্বমানের। বিজ্ঞান জগতে তিনি প্রথম প্রমাণ করেছিলেন যে উদ্ভিদও অনুভব করতে পারে।

মূল অংশ (পয়েন্ট ও ব্যাখ্যা):

• জন্ম ও শিক্ষাজীবন
জগদীশচন্দ্র বসুর জন্ম ১৮৫৮ সালের ৩০ নভেম্বর মুনশিগঞ্জে। তিনি কলকাতা ও বিদেশে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। ক্যালকাটা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেই তাঁর গবেষণার জীবন শুরু।

• বেতার তরঙ্গ আবিষ্কার
মার্কোনির আগেই তিনি বেতার সংকেত প্রেরণ ও গ্রহণের পরীক্ষা করেছিলেন। ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্রের মাধ্যমে তিনি বেতার তরঙ্গ প্রমাণে অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখেন।

• উদ্ভিদের প্রাণ আছে প্রমাণ
জগদীশচন্দ্র বসুর সবচেয়ে বিখ্যাত গবেষণা হলো উদ্ভিদের জীবন ও সংবেদনশীলতা নিয়ে। তাঁর উদ্ভিদ-তরঙ্গ-মাপক (Crescograph) যন্ত্রের মাধ্যমে তিনি দেখাতে সক্ষম হন যে গাছও ব্যথা পায়, সুখ-দুঃখ অনুভব করে।

• উদ্ভিদবিদ্যা ও সূক্ষ্ম গবেষণা
তিনি উদ্ভিদের বৃদ্ধি, তাপ, শক, আলো ও রাসায়নিক প্রভাব নিয়ে গভীর গবেষণা করেন। তাঁর গবেষণার ফলে উদ্ভিদবিজ্ঞান নতুন দিশা পায়।

• অধ্যাপনা ও গবেষণা কেন্দ্র
তিনি কলকাতার বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন, যা আজও আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সমাদৃত।

• নোবেল পুরস্কার না পাওয়া সত্ত্বেও বিশ্বস্বীকৃতি
যদিও তিনি নোবেল পাননি, তবু বিশ্বের নানা বিজ্ঞানী তাঁর কাজকে গভীর শ্রদ্ধার চোখে দেখেন। তাঁর উদ্ভাবন আজও বিজ্ঞানশিক্ষায় অনন্য।

• গবেষণার মনোভাব
জগদীশচন্দ্র বসু বিশ্বাস করতেন বিজ্ঞান মানবকল্যাণের জন্য। তিনি তাঁর আবিষ্কারের পেটেন্ট নেননি, যাতে মানবসভ্যতা উপকৃত হতে পারে।

উপসংহার:
জগদীশচন্দ্র বসু ছিলেন প্রকৃতই একজন মহান বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ। তাঁর গবেষণা, অধ্যবসায় ও মানবতার মূল্যবোধ আজও আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়। বিজ্ঞান জগতে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

তোমার দেখা একটি মেলা
(ভূমিকা + পয়েন্ট + ব্যাখ্যা + উপসংহার)
প্রশ্নমান ১০

ভূমিকা:
মেলা বাংলা সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গ্রাম হোক বা শহর—যে কোনো মেলায় মানুষের ভিড়, আনন্দ, কেনাকাটা ও উৎসবের আমেজ দেখা যায়। আমিও একবার একটি সুন্দর মেলা দেখেছিলাম, যা আমার মনে আজও অমলিন।

মূল অংশ (পয়েন্ট ও ব্যাখ্যা):

• মেলার স্থান ও সময়
গত বছরের পৌষসংক্রান্তির দিন আমাদের এলাকার মাঠে বড় একটি মেলার আয়োজন হয়েছিল। চারদিকে রঙিন পতাকা ও আলোয় মেলা সাজানো ছিল।

• দোকানপাট
মেলায় খেলনা, মাটির জিনিস, চুড়ি, মুখোশ, জামাকাপড়, গৃহস্থালির সামগ্রী—অসংখ্য দোকান ছিল। দোকানগুলোতে মানুষের ভিড় দেখে মনে হচ্ছিল উৎসব চলছে।

• খেলাধুলা ও বিনোদন
মেলায় নাগরদোলা, নৌকাবাইচের মতো ছোট খেলা, বায়োস্কোপ ও যাত্রাপালা ছিল। নাগরদোলায় চড়ে আমি খুব আনন্দ পেয়েছিলাম।

• খাবারের দোকান
মেলায় জিলিপি, পাঁপড়, চাট, মুড়ি-ঘুগনি, আইসক্রিমের দোকান ভরে ছিল। গরম জিলিপির গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল।

• মানুষের ভিড় ও উৎসবের আবহ
গ্রামের মানুষ, শহরের মানুষ—সবাই আনন্দে মেতে উঠেছিল। শিশুদের হাসি, বড়দের আলাপ আর চারদিকে কোলাহল মেলাকে আরও প্রাণবন্ত করছিল।

• সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
সন্ধ্যায় মেলার মঞ্চে নাচ, গান ও কবিতা আবৃত্তির অনুষ্ঠান হয়েছিল। স্থানীয় ছাত্রছাত্রীরাও অনুষ্ঠান করে সবাইকে মুগ্ধ করেছিল।

উপসংহার:
আমার দেখা সেই মেলা সত্যিই আনন্দময় এবং স্মরণীয় ছিল। মেলা শুধু কেনাকাটা নয়, মানুষের মিলন, আনন্দ ও সাংস্কৃতিক বন্ধনের প্রতীক। সুযোগ পেলে আমি আবারও এমন একটি মেলায় যেতে চাই।


একটি বৃষ্টির দিন
(ভূমিকা + পয়েন্ট + ব্যাখ্যা + উপসংহার)
প্রশ্নমান ১০

ভূমিকা:
বৃষ্টি আমাদের প্রকৃতির এক আশীর্বাদ। কখনও মধুর, কখনও অসুবিধার কারণ—বৃষ্টির দিন সবসময়ই আলাদা অভিজ্ঞতা দেয়। আমি একবার একটি বিশেষ বৃষ্টির দিন দেখেছিলাম, যা আমার মনে আজও পরিষ্কার।

মূল অংশ (পয়েন্ট ও ব্যাখ্যা):

• সকালবেলার আবহাওয়া
সেদিন সকাল থেকেই আকাশ ছিল কালো মেঘে ঢাকা। বাতাসে ছিল শীতলতা, আর চারপাশে ছিল এক অদ্ভুত শান্ত পরিবেশ।

• বৃষ্টি নামা
হঠাৎ বড় বড় ফোঁটা পড়তে শুরু করল। কিছুক্ষণেই ঝুমঝুম বৃষ্টি নামল। ছাদের টিনে বৃষ্টির শব্দ খুব মনোরম লাগছিল।

• প্রকৃতির রূপ
বৃষ্টির জলে গাছের পাতা ধুয়ে আরও সবুজ হয়ে উঠল। রাস্তার ধুলো ধুয়ে চারপাশ যেন নতুন রূপে সেজে উঠল।

• মানুষের কোলাহল
রাস্তায় দেখা গেল কেউ ছাতা ধরে দৌড়চ্ছে, কেউ দোকানের ছাউনি তলায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টি থামার অপেক্ষা করছে। স্কুল-কলেজেও সেদিন ছাত্রছাত্রী কম গিয়েছিল।

• শিশুদের আনন্দ
মহল্লার কয়েকটি শিশু বৃষ্টিতে ভিজে খেলছিল। কাগজের নৌকা বানিয়ে জল জমা রাস্তায় ভাসাচ্ছিল। তাদের আনন্দ দেখে আমিও হাসি চেপে রাখতে পারিনি।

• ছোটখাটো অসুবিধা
তবে বৃষ্টির কারণে রাস্তা কাদায় ভরে গিয়েছিল। যানবাহন চলাচলও কিছুটা ধীর হয়ে পড়েছিল। তবুও পরিবেশে একটি প্রশান্তি ছিল।

• সন্ধ্যার পরিবেশ
সন্ধ্যায় বৃষ্টি থেমে গেলে চারদিকে ছিল ঠান্ডা হাওয়া ও মাটির সোঁদা গন্ধ। আকাশে দেখা গেল লালচে রঙের আলো—দৃশ্যটি খুবই সুন্দর ছিল।

উপসংহার:
সেদিনের বৃষ্টির দিনটি আমার কাছে আনন্দ, শান্তি ও স্মৃতিতে ভরপুর একটি অভিজ্ঞতা। বৃষ্টি শুধু প্রকৃতিকে সুন্দর করে না, মানুষের মনকেও সজীব করে তোলে। তাই বৃষ্টির দিন আমার সবসময়ই ভালো লাগে।



বিদ্যালয় গ্রন্থাগারের ভূমিকা
(ভূমিকা + পয়েন্ট + ব্যাখ্যা + উপসংহার)
প্রশ্নমান ১০

ভূমিকা:
বিদ্যালয় গ্রন্থাগার শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও শিক্ষার অন্যতম প্রধান উৎস। পাঠ্যপুস্তকের বাইরে জ্ঞান বাড়াতে, নতুন ভাবনা সৃষ্টি করতে এবং পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে বিদ্যালয় গ্রন্থাগারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মূল অংশ (পয়েন্ট ও ব্যাখ্যা):

• জ্ঞান বৃদ্ধির কেন্দ্র
গ্রন্থাগারে গল্প, কবিতা, বিজ্ঞান, ইতিহাস, ভূগোলসহ বিভিন্ন বিষয়ের বই পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীরা এখানে পড়ে নিজস্ব জ্ঞান বাড়াতে পারে।

• পড়ার অভ্যাস তৈরি
নিয়মিত গ্রন্থাগারে গেলে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি হয়। এই অভ্যাস ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষা ও জীবনে খুবই উপকারী।

• পাঠ্যবহির্ভূত জ্ঞান
শুধু পাঠ্যপুস্তক নয়, ম্যাগাজিন, পত্রিকা, তথ্যবহুল বই থেকে শিক্ষার্থীরা পৃথিবী সম্পর্কে নতুন ধারণা পায়।

• মনোযোগ ও চিন্তাশক্তি বৃদ্ধি
বই পড়লে মনোযোগ বাড়ে, বিশ্লেষণ ক্ষমতা বাড়ে এবং চিন্তা করার দক্ষতা উন্নত হয়। এতে শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবিকাশ ঘটে।

• পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সাহায্য
গ্রন্থাগারের রেফারেন্স বই, প্রশ্নপত্র, নোট ইত্যাদি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বিশেষ সহায়ক।

• চরিত্র গঠনে ভূমিকা
অনুপ্রেরণামূলক ও নৈতিক শিক্ষা-বিষয়ক বই শিক্ষার্থীদের ভাল-মন্দ বিচারের ক্ষমতা বাড়ায় এবং চরিত্র উন্নত করে।

• শান্ত পরিবেশ
গ্রন্থাগারে শান্ত পরিবেশ থাকে, যা পড়াশোনার জন্য উপযোগী। শিক্ষার্থীরা মনোযোগ সহকারে এখানে পড়তে পারে।

• প্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার
অনেক বিদ্যালয় গ্রন্থাগারে এখন কম্পিউটার, ই-বুক, ডিজিটাল রিসোর্সও রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষায় এগিয়ে রাখে।

উপসংহার:
বিদ্যালয় গ্রন্থাগার হলো জ্ঞান অর্জনের দরজা। এটি শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ঘটায়, পড়ার অভ্যাস তৈরি করে এবং ভবিষ্যতের সঠিক পথ দেখায়। তাই প্রতিটি বিদ্যালয়ে সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার থাকা এবং শিক্ষার্থীদের সেখানে নিয়মিত পাঠে উৎসাহিত করা অত্যন্ত জরুরি।


দুর্গাপূজো
(ভূমিকা + পয়েন্ট + ব্যাখ্যা + উপসংহার)
প্রশ্নমান ১০

ভূমিকা:
দুর্গাপূজো বাঙালির সর্ববৃহৎ ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব। আনন্দ, ভক্তি, মিলন ও সাংস্কৃতিক উচ্ছ্বাস এই উৎসবকে অনন্য করে তোলে। প্রতি বছর শরৎকালে মা দুর্গার আগমন বাঙালির ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দেয়।

মূল অংশ (পয়েন্ট ও ব্যাখ্যা):

• উৎসবের সূচনা
মহালয়ার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজোর আগমনী শুরু হয়। এই দিনে দেবী দুর্গার আবাহন করা হয় এবং চারদিকে পুজোর পরিবেশ তৈরি হয়।

• মণ্ডপ ও প্রতিমা
দুর্গাপূজোর প্রধান আকর্ষণ হলো সুসজ্জিত প্যান্ডেল ও মনোরম প্রতিমা। থিমভিত্তিক মণ্ডপ, আলোয় সজ্জা এবং শিল্পীদের নিপুণ কাজ উৎসবকে আরও রঙিন করে তোলে।

• পাঁচ দিনের উৎসব
ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পাঁচ দিন ধরে উৎসব চলে। ষষ্ঠীতে দেবীর চোখ খোলা হয়, সপ্তমী–অষ্টমী–নবমীতে পূজা, আর দশমীতে বিসর্জন হয়।

• সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
পুজোর সময় নাচ, গান, নাটক, আবৃত্তি, আলোকসজ্জা ও নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকে। শিশুরা থেকে বড়রা—সকলেই আনন্দে অংশগ্রহণ করে।

• খাওয়া-দাওয়া ও আনন্দ
খিচুড়ি প্রসাদ, ভোগ, বিভিন্ন মেলা, ফুচকা, চাউমিন, রোল—সব মিলিয়ে পুজোয় খাওয়া-দাওয়াও একটি বড় আকর্ষণ। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বেরোনো এবং আনন্দ করা এই উৎসবের অংশ।

• সমাজে মিলনমেলা
দুর্গাপূজো শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, সামাজিক মিলনও বটে। এই সময় মানুষ নিজেদের সব দুঃখ ভুলে আনন্দে একত্রিত হয়।

• দশমীর বিদায়
বিজয়া দশমীতে দেবী দুর্গার বিসর্জন হয়। সবাই মায়ের বিদায়ে মন খারাপ পেলেও বিজয়া উপলক্ষে কোলাকুলি, মিষ্টি খাওয়া ও শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

উপসংহার:
দুর্গাপূজো বাঙালির আবেগ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক। ভক্তি, আনন্দ ও মিলনের মাধ্যমে এই উৎসব আমাদের মন ও সমাজকে নতুন করে সাজিয়ে তোলে। তাই দুর্গাপূজো বাঙালির জীবনে চিরস্মরণীয় ও হৃদয়ের অন্তরঙ্গ উৎসব।

একটি গ্রাম ও শহরের আত্মকথা
প্রশ্নমান 10
(ভূমিকা + পয়েন্ট + ব্যাখ্যা + উপসংহার – সহজ ভাষায়)

ভূমিকা:
আমি দুটি ভিন্ন সত্তা—একদিকে শান্ত, সবুজে মোড়া গ্রাম; আর অন্যদিকে ব্যস্ত, আলোঝলমলে শহর। মানুষের জীবন, পরিবেশ, সুযোগ—সব দিক থেকেই আমরা আলাদা। আজ আমি আমার নিজের জীবনকথা বলছি।

🌟 আমার কথা—গ্রামের আত্মকথা
১) প্রকৃতি আমার প্রধান অবলম্বন
চারদিকে সবুজ ধানক্ষেত, নদী, পাখির ডাক আর শীতল বাতাস আমার সৌন্দর্য। মানুষ এখানে প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে থাকে।

২) মানুষের সম্পর্ক খুব ঘনিষ্ঠ
আমার বাসিন্দারা একে-অপরকে ভালোবাসে, সাহায্য করে, সুখ-দুঃখে পাশে থাকে।

৩) পেশা মূলত কৃষিকাজ
চাষ, পশুপালন, বাগান—এই কাজগুলোর ওপরই আমার মানুষের জীবন চলে।

৪) পরিবেশ বিশুদ্ধ
দূষণ নেই, শব্দ কম, সবসময় নির্মল বাতাসে আমার বুক ভরে থাকে।

৫) অভাবও আমার সঙ্গী
স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বড় স্কুল, চাকরির সুযোগ—এই সব সুবিধা আমার নেই বললেই চলে।

🌟 আমার কথা—শহরের আত্মকথা
১) উন্নত সুযোগ-সুবিধা আমার পরিচয়
বড় হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, চাকরি—সবই আমার ভাঁড়ারে।

২) দ্রুতগতির জীবন
সকাল থেকে রাত—চারদিকে ব্যস্ততা, কর্মচাঞ্চল্য। মানুষ সবসময় দৌড়ে বেড়ায়।

৩) বাণিজ্য, শিল্প, প্রযুক্তিতে উন্নত
নতুন নতুন ব্যবসা, কারখানা, আইটি সেক্টর—সবই আমার উন্নতির পথ খুলে দেয়।

৪) দূষণ আমার বড় সমস্যা
যানবাহনের ধোঁয়া, শব্দ, ভিড়—এই সমস্যাগুলো আমার জীবনকে অস্থির করে তুলেছে।

৫) সম্পর্কে দূরত্ব
এত মানুষের বাস হলেও এখানে একে অপরকে চেনা কম, সম্পর্কও তুলনামূলক দুর্বল।

উপসংহার:
গ্রাম প্রকৃতির কোলে শান্ত জীবন দেয়, শহর দেয় উন্নতি ও সুযোগ। প্রকৃতি ও উন্নতির সমন্বয়ে গ্রাম ও শহর উভয়ই সুন্দর। মানুষের উচিত দুয়ের ভালো দিক গ্রহণ করে একটি সুসম সমাজ গড়ে তোলা।


স্বামী বিবেকানন্দ
প্রশ্নমান 10
(ভূমিকা + পয়েন্ট + ব্যাখ্যা + উপসংহার — সহজ ভাষায়)

ভূমিকা:
ভারতীয় দর্শন, মানবতা ও জাতীয় চেতনার উন্মেষে স্বামী বিবেকানন্দ এক অনন্য নাম। তাঁর জীবন আদর্শ, চিন্তা ও কর্ম মানবজাতিকে সঠিক পথ দেখিয়েছে। তিনি শুধু সন্ন্যাসী নন—একজন মহামানব, যিনি যুবসমাজকে জাগিয়ে তুলেছিলেন।

🌟 ১) জন্ম ও শৈশব
স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম ১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি কলকাতায়। তাঁর ছোটবেলার নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত। বুদ্ধিমত্তা, কৌতূহল, সংগীতপ্রেম ও যুক্তিবাদী মন ছিল তাঁর বৈশিষ্ট্য।

🌟 ২) শিক্ষাজীবন
তিনি মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশন ও প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশোনা করেন। দর্শন, ইতিহাস, সাহিত্য, সঙ্গীত—প্রায় সব বিষয়ে তিনি দক্ষ ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই সত্য অনুসন্ধানের আগ্রহ ছিল।

🌟 ৩) শ্রীরামকৃষ্ণের সঙ্গে সাক্ষাৎ
নরেন্দ্রনাথ যখন সত্য ও ঈশ্বর নিয়ে তীব্র প্রশ্নে ব্যাকুল ছিলেন, তখন দাক্ষিণেশ্বরের শ্রীরামকৃষ্ণের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। গুরু-শিষ্যের এই সম্পর্ক তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

🌟 ৪) সন্ন্যাস গ্রহণ ও নতুন নাম
গুরু মৃত্যুর পর তিনি সন্ন্যাস গ্রহণ করেন এবং ‘বিবেকানন্দ’ নাম গ্রহণ করেন। তিনি মানবসেবাকেই প্রকৃত ধর্ম বলেছিলেন।

🌟 ৫) বিশ্বধর্মমহাসভায় বক্তৃতা
১৮৯৩ সালে শিকাগোর বিশ্বধর্মমহাসভায় তাঁর “Sisters and Brothers of America” উক্তি পৃথিবীকে চমকে দেয়। তিনি ভারতের আধ্যাত্মিক মহত্ত্ব ও মানবতার বার্তা সারা বিশ্বে পৌঁছে দেন।

🌟 ৬) রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা
ভারতে ফিরে তিনি রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন—যেখানে মানুষের সেবা, শিক্ষা ও উন্নয়নকে প্রধান কাজ হিসেবে ধরা হয়।

🌟 ৭) মানবধর্ম ও দেশপ্রেম
তিনি বলেছিলেন—“জীবে প্রেম করে যেই জন, সে জন সেবিছে ঈশ্বর।” তিনি যুব সমাজকে শক্তি, আত্মবিশ্বাস ও কর্মযোগের বার্তা দেন। তাঁর দেশপ্রেম জাতিকে সংগ্রামী করেছে।

🌟 ৮) মৃত্যু ও স্মৃতি
১৯০২ সালের ৪ জুলাই তিনি বেলুড় মঠে মহাসমাধি লাভ করেন। মাত্র ৩৯ বছরের জীবনে তিনি অমর হয়ে থাকেন।

উপসংহার:
স্বামী বিবেকানন্দের জীবন আমাদের শেখায়—শক্তি, আত্মবিশ্বাস, সত্যবাদিতা ও মানবসেবা হল মানুষের প্রকৃত ধর্ম। তিনি ভারতের গৌরব, বিশ্বমানবতার আলো। তাঁর আদর্শ অনুসরণ করলেই সমাজ ও দেশ উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে পারে।

আর রচনা লাগলে বলবেন। 😊



SURAJIT KARMAKAR
CEO of ACSBANGLA.com



FAQ – প্রবন্ধ ও রচনা সম্পর্কিত সাধারণ প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১: বাংলা রচনা কীভাবে ভালোভাবে লিখতে হয়?

উত্তর: রচনার জন্য ভূমিকা, মূল অংশ ও উপসংহার—এই তিনটি অংশ পরিষ্কারভাবে লিখতে হবে। সহজ ভাষা, ছোট বাক্য এবং সুন্দর ব্যাখ্যা ব্যবহার করলে রচনা আকর্ষণীয় হয়।


প্রশ্ন ২: একটি প্রবন্ধে পয়েন্ট দিলে কি পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়া যায়?

উত্তর: হ্যাঁ, পয়েন্ট আকারে বিষয়ভাগ সাজালে পরীক্ষক বিষয়টি সহজে বুঝতে পারেন এবং নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।


প্রশ্ন ৩: মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য কোন কোন রচনা বেশি গুরুত্বপূর্ণ?

উত্তর: শীতকাল, দুর্গাপূজা, পরিবেশ দূষণ, গাছ আমাদের বন্ধু, মেলা, বৃষ্টির দিন, জীবনীগত রচনা (যেমন—রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ) সাধারণত পরীক্ষায় বারবার আসে।


প্রশ্ন ৪: রচনা কত শব্দের হলে ভালো নম্বর পাওয়া যায়?

উত্তর: সাধারণত ১০ নম্বরের রচনা ১০০–১২০ শব্দের হলে যথেষ্ট। তবে বিষয় অনুযায়ী সামান্য বেশি বা কম হতে পারে।


প্রশ্ন ৫: রচনা লেখায় ভাষার শুদ্ধতা কতটা প্রয়োজন?

উত্তর: ব্যাকরণ, বানান ও ভাষাশুদ্ধতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভুল বানান থাকলে নম্বর কমে যেতে পারে।


প্রশ্ন ৬: রচনায় নিজের মতামত যোগ করা কি দরকার?

উত্তর: হ্যাঁ, উপসংহারে নিজের মতামত যোগ করলে রচনা আরও সমৃদ্ধ ও ব্যক্তিগত হয়।


প্রশ্ন ৭: অনুচ্ছেদ ও প্রবন্ধের মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তর:

  • অনুচ্ছেদ ছোট ও সংক্ষিপ্ত, একটিমাত্র ধারনা ব্যাখ্যা করে।
  • প্রবন্ধ বড় এবং বিভিন্ন উপ-বিষয়ে বিভক্ত হয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়।

প্রশ্ন ৮: ছাত্রছাত্রীরা কোন ধরনের রচনা বেশি চায়?

উত্তর: সাধারণত মৌসুমি রচনা (শীতকাল, বর্ষা, শরৎ), উৎসবভিত্তিক রচনা (দুর্গাপূজা, সরস্বতী পূজা), জীবনী (রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ), পরিবেশ ও প্রকৃতি বিষয়ক রচনা বেশি জনপ্রিয়।


প্রশ্ন ৯: রচনা মুখস্থ করাই কি যথেষ্ট?

উত্তর: না, বিষয়টি ভালোভাবে বুঝে নিজের ভাষায় লিখতে পারলে নম্বর বেশি পাওয়া যায়।



প্রবন্ধ রচনা

বাংলা প্রবন্ধ

অনুচ্ছেদ রচনা

বাংলা রচনা

শীতকাল রচনা

শরৎকাল প্রবন্ধ

বাংলার উৎসব রচনা

পরিবেশ দূষণ প্রবন্ধ

পরিবেশ দূষণ প্রতিকার

গাছ আমাদের বন্ধু রচনা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রবন্ধ

বিদ্যালয় জীবনে খেলাধুলার ভূমিকা

জগদীশচন্দ্র বসু প্রবন্ধ

তোমার দেখা একটি মেলা রচনা

একটি বৃষ্টির দিন রচনা

বিদ্যালয় গ্রন্থাগারের ভূমিকা

দুর্গাপূজো রচনা

গ্রাম ও শহরের আত্মকথা

স্বামী বিবেকানন্দ প্রবন্ধ

বাংলা মাধ্যম রচনা

স্কুল পরীক্ষার রচনা

মাধ্যমিক রচনা সাজেশন

উচ্চমাধ্যমিক রচনা সাজেশন

বাংলা রচনার প্রশ্ন

প্রবন্ধের প্রশ্ন তালিকা


বাংলা রচনা
বাংলা প্রবন্ধ
রচনা লিখন
অনুচ্ছেদ রচনা
বাংলা রচনার প্রশ্ন
রচনা সাজেশন বাংলা
বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট রচনা
মাধ্যমিক বাংলা রচনা
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা রচনা


⭐ প্রবন্ধভিত্তিক র্যাঙ্কিং কি–ওয়ার্ড

শীতকাল রচনা
শরৎকাল রচনা
বাংলার উৎসব রচনা
পরিবেশ দূষণ রচনা
গাছ আমাদের বন্ধু রচনা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা
বিবেকানন্দ প্রবন্ধ
জগদীশচন্দ্র বসু রচনা
দুর্গাপূজা রচনা
গ্রাম শহর রচনা
একটি বৃষ্টির দিন রচনা
মেলা রচনা বাংলা
বিদ্যালয় গ্রন্থাগার রচনা
খেলাধুলার ভূমিকা রচনা


⭐ পরীক্ষাভিত্তিক র্যাঙ্কিং কীওয়ার্ড

Class 6 Bengali essay
Class 7 Bengali essay
Class 8 Bengali essay
Class 9 Bengali essay
Class 10 Bengali essay
HS বাংলা প্রবন্ধ
এসএ রচনা বাংলা
পরীক্ষার রচনা সাজেশন
Board exam বাংলা রচনা


⭐ SEO Boost করার জন্য LSI Keywords

বাংলা রচনা সংগ্রহ
প্রবন্ধের প্রশ্ন ও উত্তর
বাংলা সাহিত্য রচনা
স্কুল রচনা বুক
বাংলা শেখার রচনা
Student রচনা
Essay in Bengali
Easy Bengali essay
Top Bengali essay 2025


নীচে প্রবন্ধ, রচনা, বাংলা এসেসমেন্ট ও পরীক্ষাভিত্তিক কনটেন্টের জন্য SEO–friendly Related Search Keywords সাজিয়ে দিলাম।
এগুলো গুগলে সবচেয়ে বেশি সার্চ হওয়া সম্পর্কিত কীওয়ার্ড—যা তোমার পেজে ট্র্যাফিক বাড়াতে সাহায্য করবে।


Related Search Keywords (Bengali Essay & Prose)

⭐ সাধারণ সম্পর্কিত সার্চ

বাংলা রচনা তালিকা
বাংলা প্রবন্ধ তালিকা
অনুচ্ছেদ রচনা বাংলা
Bangla essay writing
Essay in Bengali
Bangla paragraph writing
স্কুল রচনার প্রশ্ন
বাংলা মাধ্যম রচনা
বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট রচনা
Class wise Bengali essay


⭐ মৌসুমি রচনার সম্পর্কিত সার্চ

শীতকাল রচনা বাংলা
বর্ষাকাল রচনা
গ্রীষ্মকাল রচনা
শরৎকাল রচনা
হেমন্তকাল রচনা
বসন্তকাল রচনা


⭐ পরিবেশ ও প্রকৃতি সম্পর্কিত সার্চ

পরিবেশ দূষণ রচনা
বায়ুদূষণ প্রবন্ধ
জলদূষণ রচনা
গাছের গুরুত্ব রচনা
বনাঞ্চল রচনা
পৃথিবী রক্ষা রচনা


⭐ উৎসবভিত্তিক সম্পর্কিত সার্চ

দুর্গাপূজা রচনা
সরস্বতী পূজা রচনা
পৌষ পার্বণ রচনা
বসন্ত উৎসব রচনা
বাংলার উৎসব প্রবন্ধ


⭐ জীবনী ও ব্যক্তিত্বভিত্তিক সম্পর্কিত সার্চ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা
স্বামী বিবেকানন্দ প্রবন্ধ
জগদীশচন্দ্র বসু রচনা
ন্যায়মূল্য রচনা
জাতীয় নেতা রচনা


⭐ ছাত্রজীবন ও বিদ্যালয়ভিত্তিক সার্চ

বিদ্যালয় জীবনে খেলাধুলা
বিদ্যালয় গ্রন্থাগারের ভূমিকা
শিক্ষার গুরুত্ব রচনা
শিক্ষক দিবস রচনা
শিক্ষার্থী জীবন রচনা


⭐ অভিজ্ঞতা ও দৃশ্যভিত্তিক রচনা

একটি বৃষ্টির দিন রচনা
তোমার দেখা একটি মেলা রচনা
গ্রাম ও শহর রচনা
পার্কে ভ্রমণ রচনা
বাস ভ্রমণ রচনা
ট্রেন ভ্রমণ রচনা


⭐ পরীক্ষাভিত্তিক সম্পর্কিত সার্চ

Madhyamik Bengali essay
HS Bengali essay
Class 6 Bengali paragraph
Class 8 Bengali essay
Class 10 Bengali essay
Exam suggestion Bengali
Bengali essay 2025
Top Bengali essay



Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

পোস্ট পড়ার পর ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না ।
( After reading post not forgetting comments. ) 👆

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
"ACSBangla.com: পশ্চিমবঙ্গের স্কুল-কলেজের খবর, বৃত্তি, চাকরি সংক্রান্ত আপডেট, মাধ্যামিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সাজেশন। এছাড়াও এখানে পাবেন পশ্চিমবঙ্গের নতুন প্রকল্পের খবর, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও বাংলার সর্বশেষ সংবাদ। ছাত্রছাত্রীদের জন্য উপযোগী সাজেশন ও চাকরিপ্রার্থীদের জন্য নিয়মিত আপডেট সহ আরও অনেক কিছু জানতে ভিজিট করুন ACSBangla.com। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা, চাকরি ও প্রজেক্ট সংক্রান্ত আপডেট পেতে থাকুন আমাদের সাথে।" "ACSBangla.com: Get updates on West Bengal school and college news, scholarships, jobs, and exam suggestions for Madhyamik and HS. Also, find information on new projects, important news, and the latest updates from Bengal. Visit ACSBangla.com for student-friendly suggestions and regular updates for job seekers. Stay tuned for updates on education, jobs, and projects in West Bengal." @EnjoyExam @NewsAcsBangla

🔍 সাজেশন, প্রশ্ন বা নোট খুঁজতে এখানে সার্চ করুন:

👉 উদাহরণ: "Class 10 Geography Suggestion 2026", "Class 11 EVS Notes", "2025 Madhyamik Question Paper"