ACS BANGLA | এ সি এস বাংলা Class 10 Geography Suggestion 2026 | Madhyamik Geography 100% Common Suggestion

Class 10 Geography Suggestion 2026 | Madhyamik Geography 100% Common Suggestion

Dev ruidas
0

 Class 10 Geography Suggestion 2026 | Madhyamik Geography 100% Common Suggestions 

      
Class 10 Geography Suggestion 2026 | Madhyamik Geography 100% Common Suggestion


বিভাগ-ক


১। বিকল্পগুলির থেকে সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো :-

১.১ হিমবাহ ও পর্বতগাত্রের মধ্যে যে সংকীর্ণ ফাঁক দেখা যায়, তাকে বলে-
(ক) ক্রেভাস
(খ) করি
(গ) এরিটি
(ঘ) বার্গমুন্ড।

১.২ মরুভূমিতে অর্ধচন্দ্রাকার বালিয়াড়িগুলিকে বলা হয়-
(ক) বার্খান
(খ) সিফ
(গ) লোয়েস
(ঘ) গৌর।

১.৩ বায়ুমণ্ডলে প্রায় 20.95% পরিমাণ আছে-
(ক) NO₂
(খ) CO₂
(গ) O₂
(ঘ) CH₄ গ্যাস।

১.৪ পৃথিবীর অ্যালবেডোর পরিমাণ প্রায়-
(ক) 32%
(খ) 33%
(গ) 34%
(ঘ) 38%।

১.৫ বেঙ্গুয়েলা স্রোত দেখা যায়-
(ক) উত্তর আটলান্টিক
(খ) দক্ষিণ আটলান্টিক
(গ) উত্তর প্রশান্ত
(ঘ) দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে।

১.৬ মরা কোটালের সময় চন্দ্র ও সূর্য পৃথিবীর সাপেক্ষে নিম্নলিখিত যে কোণে অবস্থান করে-
(ক) ১৮০°
(খ) ৩৬০°
(গ) ৯০°
(ঘ) ১২০°

১.৭ পারদ দূষণের ফলে
(ক) ব্ল‍্যাকফুট
(খ) মিনামাটা
(গ) ডিসলেক্সিয়া
(ঘ) ইতাই ইতাই রোগ হয়।

১.৮ 'মৌসুমি বিস্ফোরণ' প্রথমে দেখা যায়
(ক) কেরালায়
(খ) কর্ণাটকে
(গ) মেঘালয়ে
(ঘ) পশ্চিমবঙ্গে।

১.৯ বৃষ্টির জল দ্বারা মাটির ওপরের স্তর চাদরের আকারে অপসৃত হয় যে ক্ষয় পদ্ধতির মাধ্যমে, তা হল-
(ক) শিট ক্ষয়
(খ) গালি ক্ষয়
(গ) রিল ক্ষয়
(ঘ) র‍্যাভাইন ক্ষয়।

১.১০ হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলের 4000 মিটারের বেশি উচ্চতায় যে অরণ্য দেখা যায়, তা হল-
(ক) পাইন
(খ) মিশ্র
(গ) সরলবর্গীয়
(ঘ) আল্পীয়।

১.১১ যে ফসল চাষে বলউইভিল পোকার আক্রমণ ঘটে, তা হল
(ক) পাট
(খ) ধান
(গ) কার্পাস
(ঘ) ইক্ষু।

১.১২ 'গ্লোবাল শিল্প' বলা হয়
(ক) লৌহ-ইস্পাত শিল্পকে
(খ) পেট্রোরসায়ন শিল্পকে
(গ) তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পকে
(ঘ) পর্যটন শিল্পকে।

১.১৩ ভারতের দীর্ঘতম জাতীয় সড়কপথটি হল
(ক) 1 নং
(খ) ৪৪ নং
(গ) 6 নং
(ঘ) 7 নং জাতীয় সড়ক।

১.১৪ ভারতের সূর্য সমলয় উপগ্রহ হল
(ক) INSAT
(খ) IRS
(গ) LANDSAT
(ঘ) SPOTI

বিভাগ-খ

২.১ নিম্নলিখিত বাক্যগুলি শুদ্ধ হলে পাশে 'সু' এবং অশুদ্ধ হলে পাশে 'অ' লেখো: (যে-কোনো ছয়টি)

২.১.১ নদীর সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট অন্যতম একটি ভূমিরূপ হল অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ। (সত্য/মিথ্যা)

২.১.২ চিনুক ফ্রান্সের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি উদ্বু বায়ু। (সত্য/মিথ্যা)
(চিনুক ফ্রান্সের মধ্য দিয়ে কোনো নদী নয়, এটি “উদ্বু বায়ু”ও নয়।)

২.১.৩ প্রতিযোগ অবস্থানে পৃথিবী চাঁদ ও সূর্যের মাঝে অবস্থান করে। (সত্য/মিথ্যা)

২.১.৪ মূলত জৈব বর্জ্য থেকে বায়ুদূষণ ঘটে। (সত্য/মিথ্যা)

২.১.৫ পক্ প্রণালী ভারতকে ভুটান থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। (সত্য/মিথ্যা)
(পক্ প্রণালী ভারতকে ভুটান থেকে আলাদা করেনি; এটি পাকিস্তান ও ভারত বা অন্য অঞ্চলের জন্য প্রযোজ্য)

২.১.৬ কর্ণাটক মালভূমির পশ্চিমের ঢেউ খেলানো ভূভাগ মালনাদ নামে পরিচিত। (সত্য/মিথ্যা)
২.১.৭ কলকাতা একটি সমুদ্র বন্দর (সত্য/মিথ্যা)
(কলকাতা সমুদ্র বন্দর নয়; এটি হুগলি নদীর তটে অবস্থিত নদীবন্দর


২.২ উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো (যে-কোনো ছয়টি):

২.২.১ প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের পদার্থের স্থান পরিবর্তনকে _________________________।
ক্ষয় বা অপক্ষয় (Erosion

২.২.২ যে পরিমাণ সূর্যরশ্মি পৃথিবী ও বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে, তাকে _________________________।
ইনসোলেশন 

২.২.৩ বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রস্রোত বিক্ষিপ্ত হয় _______________ শক্তির প্রভাবে।
সূর্যের তাপশক্তি 

২.২.৪ খনিজের প্রভাবে ল্যাটেরাইট মাটির রং লাল হয়। _________________________।
আয়রন অক্সাইড 

২.২.৫ নদীর বদ্বীপ অঞ্চলকে 'দক্ষিণ ভারতের শস্যভাণ্ডার' বলে। _________________________।
ছত্তিশগড় 

২.২.৬ ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, ভারতের সর্বনিম্ন লিঙ্গ অনুপাতযুক্ত রাজ্যটি হল _________________________।
তামিলনাডু 

২.২.৭ SPOT নামক দূরসংবেদন (সূর্য সমলয়) উপগ্রহটি _________________________ থেকে পরিচালিত।
ফ্রান্স

২.৩ একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও (যে-কোনো ছয়টি)

১. মরু অঞ্চলে পর্বতের পাদদেশে সৃষ্ট সমভূমির নাম কী?
∆পিডমন্ট সমভূমি

২. কোন স্তরে প্রোটন ও ইলেকট্রনের স্থায়ী চৌম্বকক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে?
   আয়নমণ্ডল

৩. সমুদ্রের মধ্যভাগে সৃষ্ট স্রোতহীন জলাবর্ত কী নামে পরিচিত? 
    সারগাসো সাগর

৪. একটি তেজস্ক্রিয় বর্জ্যের নাম লেখো। 
    ইউরেনিয়াম-২৩৫

৫. কোন জলপ্রপাতকে 'ভারতের নায়াগ্রা' বলা হয়? 
    জোগ জলপ্রপাত

৬. কোন প্রাকৃতিক অরণ্যে গাছের পাতা ছুঁচোলো হয়? 
    শুষ্ক (কাঁটাঝোপ) অরণ্য

৭. ভারতের বৃহত্তম পেট্রোরসায়ন শিল্পকেন্দ্রটি কোথায় অবস্থিত? 
   জামনগর (গুজরাট)

৮. একটি এককবিহীন স্কেলের নাম লেখো।
   রাফ স্কেল


২.৪ বামদিকের সঙ্গে ডানদিকেরগুলি মিলিয়ে লেখো:


       বামদিক                          ডানদিক
|------------------------------|---------------------------
| ১. গ্রাবরেখা             | (১) দক্ষিণ ভারত                 
| ২. শিলং                   | (২) শ্রীনগর                     
| ৩. আম্রবৃষ্টি              | (৩) হিমবাহের সঞ্চয়কার্য         
| ৪. জম্মু ও কাশ্মীর    | (৪) বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল            

১. ৪ 
২. ১ 
৩. ৩ 
৪. ২ 

বিভাগ - গ

৩। নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : (বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয়)


১. নগ্নীভবন কাকে বলে?
         শব্দটির অর্থ 'অনাবৃত থাকা'। সংজ্ঞাঃ- বহির্জাত অবরোহন প্রক্রিয়ায় আবহবিকার, পুঞ্জিত ক্ষয় ও ক্ষয়ীভবন এই তিনটি প্রক্রিয়ার যৌথ কার্যকলাপে ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগের শিলাস্তর বিচ্ছিন্ন ও অপসারিত হয়ে ভূমির উচ্চতা হ্রাস পায় এবং নীচের শিলাস্তর উন্মুক্ত হয় তাকে নগ্নীভবন বলে।


অথবা, বহিঃবিধৌত সমভূমি কাকে বলে?

বহিঃধৌত সমভূমি (Outwash plains) : হিমবাহ ও হিমবাহগলিত জলধারার মিলিত সঞ্চয়কার্যের ফলে যে সমস্ত ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, বহিঃধৌত সমভূমি হল তাদের মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপ । উচ্চ পর্বতের পাদদেশে হিমবাহ এসে পৌঁছালে তা গলে গিয়ে জলে পরিণত হয়, তখন বরফগলা জলপ্রবাহের মাধ্যমে হিমবাহবাহিত প্রস্তরখণ্ড, পলি, বালি, নুড়ি, কাঁকর প্রভৃতি পদার্থসমূহকে পর্বতের পাদদেশে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে সঞ্চিত করে সমপ্রায়ভূমি গড়ে তোলে । এরূপ সমপ্রায়ভূমিকে বহিঃধৌত সমভূমি বলে । আইসল্যাণ্ডে ইহা সান্দুর নামে পরিচিত ।

উত্তর আমেরিকার কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ হ্রদ অঞ্চলে এরূপ সমভূমি দেখা যায় ।




২. ITCZ বলতে কী বোঝো?
ITCZ বলতে আন্তঃক্রান্তীয় অভিসরণ অঞ্চল (Intertropical Convergence Zone) বোঝায়, যা বিষুবরেখার কাছাকাছি একটি নিম্নচাপ বলয় যেখানে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের বাণিজ্য বায়ু একত্রিত হয়ে মেঘ ও ভারী বৃষ্টিপাত তৈরি করে। এই অঞ্চলটি তাপীয় বিষুবরেখার কাছে পৃথিবীকে ঘিরে থাকে এবং সূর্যের আপাত চলাচলের সাথে ঋতুভেদে এর অবস্থান উত্তর বা দক্ষিণে পরিবর্তিত হয়। 

অথবা, জায়র কী?

লাতিন শব্দ 'gyre'-এর অর্থ গোল বা
গোলাকার পথ। তাই জায়র বলতে জলরাশির চক্রগতিকেই বোঝায়। প্রতিটি মহাসাগরেই সমুদ্রস্রোতগুলির গতিপথ অনুসরণ করলে একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়। বৈশিষ্ট্যটি হল জায়র (gyre) বা চক্রগতি অর্থাৎ সমুদ্রের জলরাশির চক্রাকার গতি।


৩. জীববিশ্লেষ্য বর্জ্য কাকে বলে?** 
যেসব বর্জ্য সমগ্র জীবজগত অর্থাৎ পরিবেশের বিশেষ কোনো ক্ষতি করে না, সেই সব বর্জ্যকে অবিষাক্ত বা বিষহীন বর্জ্য বলে। অবিষাক্ত বর্জ্য হল জীব বিশ্লেষ্য বর্জ্য। উদাহরণ – কৃষিতে সৃষ্ট, বাড়িতে সৃষ্ট জৈব বর্জ্য ইত্যাদি।


অথবা, ইউট্রোফিকেশন বলতে কী বোঝো?
ইউট্রোফিকেশন হলো একটি জলজ বাস্তুতন্ত্রে (যেমন হ্রদ বা নদী) পুষ্টির (বিশেষ করে নাইট্রোজেন ও ফসফরাস) মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার একটি প্রক্রিয়া, যা শ্যাওলা (algae) এবং অন্যান্য জলজ উদ্ভিদকে অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। এই অতিরিক্ত উদ্ভিদ বৃদ্ধি জল থেকে অক্সিজেন কমিয়ে দেয়, যা অন্যান্য জলজ জীবের জন্য মারাত্মক হতে পারে এবং জলের গুণমান নষ্ট করে। 


৪. দুন বলতে কি বোঝ?
সংজ্ঞা :
“দুন” কথাটির অর্থ হল দুই পর্বতের মাঝে নীচু জমি। শিবালিক ও হিমাচল হিমালয়ের মাঝের সংকীর্ণ উপত্যকা দুন নামে পরিচিত।

উদাহরণ :
উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন ৭৫ কিমি দীর্ঘ এবং ২০ কিমি প্রশস্ত। এটি হল হিমালয়ের বৃহত্তম দুন উপত্যকা। এছাড়া অন্যান্য দুন উপত্যকাগুলি হল পাটিয়া , চৌখাম্বা , কোটা প্রভৃতি।

অথবা, আঁধি কী?
'আঁধি' শব্দটি হিন্দি শব্দ 'আন্ধেরা' থেকে এসেছে, যার অর্থ অন্ধকার। 'আঁধি' হল ধূলিঝড় যা দীর্ঘ, শুষ্ক প্রকৃতির হয়। গ্রীষ্মকালে উত্তর-পশ্চিম ভারতে এইরূপ ধূলিঝড় সৃষ্টি হয়। ধূলিঝড়ে আকাশ যেন আঁধার হয়ে আসে, তাই এর এরূপ নাম।

উত্তর-পশ্চিম ভারতের দিল্লি, পাঞ্জাব, রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশের কিছু অঞ্চলে গ্রীষ্মকালের বিকেলবেলার দিকে কখনও কখনও এক রকমের ধুলোর ঝড় (Dust Storm) প্রবাহিত হতে থাকে, একে আঁধি বলে। আঁধির সময় বাতাস পরিচলন পদ্ধতিতে প্রচুর পরিমাণে ধূলিকণা সংগ্রহ করে প্রতি ঘণ্টায় ৭০-১০০ কিমি বেগে প্রবাহিত হতে থাকে। আঁধি প্রবাহিত হলে বায়ুর তাপমাত্রা কমে যায়।

৫.ধাপ চাষের গুরুত্ব লেখো!
  • এই কৃষি পদ্ধতি পাহাড়ের ঢালে চর্চা করা হয় যেখানে ফসল ফলানোর জন্য পর্যাপ্ত সমতল ভূখণ্ড নেই। অতএব, বিকল্প 4 সঠিক।
  • এতে, পাহাড়ের ঢালগুলি নিয়মিত অন্তরের অনুভূমিক ধাপে রূপান্তরিত করে ফসল চাষ করা হয়।
  • এগুলি ঢাল বরাবর পৃষ্ঠের প্রবাহ কমায় এবং মাটির ক্ষয় রোধে সাহায্য করে।
অথবা, জনঘনত্ব কাকে বলে?

সংজ্ঞা: ভূপৃষ্ঠের কোনো অঞ্চলের মানুষের

বণ্টনগত তারতম্যের সূচক হল জনঘনত্ব। কোনো দেশ বা অঞ্চলের মোট জনসংখ্যাকে ওই অঞ্চলের মোট জমির আয়তন দিয়ে ভাগ করলে যে অনুপাত পাওয়া যায়, তাকে জনঘনত্ব (density of population) বলে।।

সূত্র: জনঘনত্ব =মোট জনসংখ্যা /মোট জমির আয়তন

বৈশিষ্ট্য: 1. জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিমিতে প্রকাশ করা হয়। 2. এর সাহায্যে জমির ওপর জনসংখ্যার চাপ বোঝা গেলেও অধিবাসীদের
৩.৬ টীকা লেখো : তড়িৎচুম্বকীয় বর্ণালী।

কোনো পদার্থের পরমাণুর মধ্যে ইলেকট্রনগুলো নির্দিষ্ট দূরত্বে বিভিন্ন খোলকে অবস্থান করে। পরমাণুতে কোনো শক্তি সরবরাহ করা হলে ইলেকট্রন এক খোলক থেকে লাফিয়ে অন্য খোলকে চলে যায় যখন ইলেকট্রনগুলো নিজ খোলকে ফিরে আসে তখন ইলেকট্রনের মধ্যে সঞ্চিত শক্তি বিকিরণ মন এই বিকিরিত শক্তিই আলো। শক্তি বিকিরণ তরঙ্গ আকারে ঘটে যা তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ। গামা রশ্মি, এক্সরে, দৃশ্যমান আলো, অবলোহিত রশ্মি এবং বেতার তরঙ্গ সবই তাড়িত চৌম্বক তরঙ্গ। সব তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গের বেগ শূন্য মাধ্যমে একই এবং তা সেকেন্ডে প্রায় ৩ লক্ষ কিলোমিটার। সব তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গের বেগ সমান হলেও এদের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বা কম্পাঙ্ক বিভিন্ন। আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অ্যাংস্ট্রম এককে পরিমাপ করা হয়।

অথবা, ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র কাকে বলে?
ভূ-পৃষ্ঠের বা পৃথিবী পৃষ্ঠের বিভিন্ন প্রাকৃতিক (ভূপ্রকৃতি, নদনদী, স্বাভাবিক উদ্ভিদ প্রভৃতি) এবং সাংস্কৃতিক উপাদানগুলিকে (রাস্তাঘাট, বাড়ি, রেললাইন, পাওয়ার লাইন প্রভৃতি) রেখা, রং ও বিভিন্ন প্রতীক চিহ্নের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয় যে চিত্রের মাধ্যমে তাকে টোপোগ্রাফিক্যাল বা ভূবৈচিত্রসূচক মানচিত্র বলে। এই মানচিত্র টোপোশিট নামেও পরিচিত

বিভাগ-ঘ

৪। সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক উত্তর দাও (বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয়)

৪.১ জিউগেন ও ইয়ার্দাঙ-এর মধ্যে পার্থক্য:

ইয়ার্দাং ও জিউগেনের মধ্যে পার্থক্য –

বিষয়ইয়ার্দাংজিউগেন
গঠনের কারণবায়ুর গতিপথে কঠিন ও কোমল শিলা উল্লম্ব বা একনত ভাবে অবস্থান করলে বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে কোমল শিলা ক্ষয় পেয়ে ইয়ার্দাং গঠন করে।বায়ুর গতিপথে কঠিন ও কোমল শিলা সমান্তরালে অবস্থান করলে বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে শৈলশিরার মতো জিউগেন গঠন করে।
অবস্থানএই ভূমিরূপগুলি সাধারণত সমান্তরালভাবে অবস্থান করে।এই ভূমিরূপের ক্ষেত্রে কঠিন শিলা কম এবং কোমল শিলা বেশি ক্ষয় পাওয়ায় ছোটো ব্যাঙের ছাতার মতো অবস্থান করে।
প্রকৃতিএদের মাথাগুলি ক্ষয়কাজের ফলে ছুঁচোলো বা অসমতল প্রকৃতির হয়।এদের মাথাগুলি সমতল চূড়াবিশিষ্ট হয়। ভূপৃষ্ঠ থেকে 3-30 মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়।
বৈশিষ্ট্যইয়ার্দাং -এর মাথাগুলি ক্রমশ ক্ষয় পেয়ে ছুঁচোলো প্রকৃতির হয়, এদের নিডিল বলে।বায়ুর ক্ষয়কাজের ফলে জিউগেনের মাথাগুলি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে চ্যাপটা আকৃতিবিশিষ্ট হয়।


অথবা, উচ্চতা কীভাবে তাপমাত্রাকে প্রভাবিত করে:
উচ্চতা হল সমুদ্রতল বা স্থলস্তরের সাপেক্ষে কোনো বস্তু বা বিন্দুর উচ্চতা। উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে নিম্ন বায়ুচাপ এবং কম তাপ ধরে রাখার কারণে তাপমাত্রা সাধারণত হ্রাস পায়। এই সম্পর্ক বৃষ্টিপাত, বায়ু এবং জলবায়ু অঞ্চল সহ আবহাওয়ার ধরণগুলিকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে

৪.২ 3R কী:

3R মানে হলো — Reduce, Reuse, Recycle
এগুলো পরিবেশ দূষণ কমানোর তিনটি প্রধান নীতি।
১. Reduce – অপচয় কমানো।
২. Reuse – জিনিস পুনরায় ব্যবহার করা।
৩. Recycle – বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করে নতুন জিনিস তৈরি করা।

অথবা,বর্জ্য পদার্থের পরিবেশের ওপর তিনটি প্রভাব:
1) দৃশ্যদূষণ: যেখানে সেখানে বর্জ্য জমে
থাকলে সেখানকার পরিবেশ দূষিত হয়। পরিবেশের সৌন্দর্য নষ্ট হয় এবং ময়লা ও আবর্জনা দৃশ্যদূষণ ঘটায়।

2) বিষাক্ত বর্জ্যের প্রভাব: কলকারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত বর্জ্য জল, মাটি ও বায়ুকে দূষিত করে। ওইসব পদার্থ পরিবেশের বাস্তুতন্ত্রকে নষ্ট করে দেয়। বিভিন্ন শারীরিক রোগের সৃষ্টি করে এবং উদ্ভিদ ও প্রাণীজগতের নানারকম ক্ষতি সাধন করে।

3) জমির উর্বরতা হ্রাস: কৃষি, গৃহস্থালি ও
শিল্পকেন্দ্রের আবর্জনা কৃষিজমিতে পড়লে ওই জমির উর্বরতা হ্রাসসহ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তিত হয়ে যায়।

4) জলের ওপর প্রভাব: বর্জ্য পদার্থ নদী,
জলাশয় ও সাগরে পড়লে ওই জল দূষিত হয়ে যায় এবং জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের ওপর তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। মাছেদের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হয় এবং জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীদের মৃত্যু হয়।

5) বায়ুতে প্রভাব: বায়ুতে দূষিত বর্জ্য মিশলে বায়ুর দূষণ ঘটে, এমনকি বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পায়।

৪.৩ আন্দামানের থেকে মেঘালয়ের বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হলেও উদ্ভিদের ঘনত্ব আন্দামানে বেশি কেন:
  • আন্দামানে বৃষ্টি বেশি হলেও মেঘালয়ের মাটির উর্বরতা ও জলাধার বেশি হওয়ায় উদ্ভিদের ঘনত্ব বেশি
  • মেঘালয়ের ভৌগোলিক অবস্থান ও জলবায়ু উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য উপযোগী।


অথবা,বিশুদ্ধ ও অবিশুদ্ধ কাঁচামালের মধ্যে তিনটি পার্থক্য:

বিশুদ্ধ পদার্থ

অপবিত্র পদার্থ


বিশুদ্ধ পদার্থগুলি একটি একক উপাদান বা যৌগ দ্বারা গঠিত

অশুদ্ধ পদার্থগুলি বেশ কয়েকটি উপাদান এবং যৌগ দ্বারা গঠিত

শ্রেণীবদ্ধকরণ

কঠিন, তরল এবং গ্যাসীয়

ভিন্নধর্মী এবং সমজাতীয়

বিশুদ্ধতা

বিশুদ্ধ পদার্থের বিশুদ্ধতা ১০০%

অপরিষ্কার পদার্থের বিশুদ্ধতা ১০০% এর কম



৪.৪ ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রে ব্যবহৃত স্কেলের প্রকারভেদ:

১. বাক্যগত স্কেল (Statement scale) – যেমন: ১ সেমি = ১ কিমি
২. ভগ্নাংশ স্কেল (Fractional scale) – যেমন: 1 : 50,000
৩. রৈখিক স্কেল (Linear scale) – মানচিত্রে আঁকা দাগরেখা আকারে দূরত্ব দেখায়।

অথবা,উপগ্রহ চিত্রের তিনটি গুরুত্ব:

১. প্রাকৃতিক সম্পদ ও বনাঞ্চল নিরীক্ষণ করা যায়।
২. আবহাওয়া ও দুর্যোগ পর্যবেক্ষণে সহায়ক।
৩. মানচিত্র প্রণয়ন ও ভূমি ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত হয়

বিভাগ-ঙ

৫। ৫.১ নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলি থেকে যে-কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও:

১.লোহাচড়া, নিউমুর ও ঘোড়ামারা দ্বীপগুলির ওপর জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব

জলবায়ুর পরিবর্তন কীভাবে লোহাচড়া, ঘোড়ামারা বা নিউমুর দ্বীপকে প্রভাবিত করছে?

সুন্দরবন অঞ্চলটি হল গঙ্গা বদ্বীপের সক্রিয় অংশ। অসংখ্য দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত এই অঞ্চলে গড়ে উঠেছে পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনভূমি। যেহেতু এই অঞ্চলের দক্ষিণ সীমায় আছে বঙ্গোপসাগর, তাই বর্তমানে বিশ্ব উষ্ণায়ন তথা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সমুদ্রজলের উষ্ণতা ও উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় এখানকার দ্বীপগুলিতে তার অত্যন্ত ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে।

১. জলতল বৃদ্ধি ও দ্বীপসমূহের অবলুপ্তি

জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে সরাসরি প্রভাবগুলির একটি হল সমুদ্রজলের উচ্চতা বৃদ্ধি। সুন্দরবন অঞ্চলের সমুদ্রজলের উচ্চতা বিগত কয়েক বছর ধরে গড়ে বার্ষিক প্রায় ৫ মিলিমিটার হারে বেড়ে চলেছে। এই জলস্তরের বৃদ্ধি ভূমিক্ষয় বাড়িয়ে দিয়েছে, যার ফলে লোহাচড়া, ঘোড়ামারা ও নিউমুর দ্বীপের মত দ্বীপগুলি ধীরে ধীরে জলের তলায় চলে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের এই প্রভাবগুলি শুধু ভূগর্ভস্থ স্তরের ক্ষয় নয়, এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং জীববৈচিত্র্যের উপরও প্রভাব ফেলছে।

২. ক্লাইমেট রিফিউজি মানুষের সংখ্যাবৃদ্ধি

দ্বীপগুলি জলমগ্ন হওয়ার কারণে এখানকার বহু অধিবাসী উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। যারা সুন্দরবনের অন্যান্য অংশে বা মূল ভূখণ্ডে সরে গেছে, তারা সেখানে নতুন করে জীবনযাত্রার সংগ্রাম শুরু করেছে। এই ধরনের ক্লাইমেট রিফিউজি মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে, যা সমাজ ও অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলছে। এই সমস্যার সমাধান না করলে ভবিষ্যতে আরও বড় সামাজিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

৩. ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ বৃদ্ধি

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রজলের উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ায় সুন্দরবন অঞ্চলে ঝড়ঝঞা ও ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা এবং তীব্রতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়গুলি ম্যানগ্রোভ বনভূমি ও জনবসতি উভয়ের জন্যই অত্যন্ত ক্ষতিকর। ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিপর্যয়ের মাত্রাও বাড়ছে, যার ফলে এই অঞ্চলের পরিবেশ ও অর্থনীতি মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে

৪. ম্যানগ্রোভ বনভূমির ক্ষতি

ম্যানগ্রোভ বনভূমি সুন্দরবন অঞ্চলের একটি মহামূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। এটি শুধু জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নয়, বন্যা ও ঝড়ঝঞার হাত থেকে রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দ্বীপসমূহের অবলুপ্তি, ভূমিক্ষয় এবং ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ম্যানগ্রোভ বনভূমির অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। এই বনভূমি হারালে সুন্দরবন অঞ্চলের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে এবং এর সাথে সাথে এখানকার জীববৈচিত্র্যও বিপন্ন হবে।

৫. সমুদ্রজলের লবণতা বৃদ্ধি

বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে সমুদ্রজলের উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লবণতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই লবণাক্ত জল সুন্দরবন অঞ্চলের মিঠাজল প্রবাহ ও মাটির উর্বরতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, যা এখানকার কৃষিকাজ ও মাছচাষের জন্য বিপজ্জনক। লবণাক্ত জল প্রবেশ করে কৃষিজমি চাষের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে এবং জলঘটিত রোগব্যাধির প্রকোপও বাড়ছে, যা এখানকার জীবনযাত্রার মানকে নিচে নামিয়ে দিচ্ছে।

৬. বন্যার প্রকোপ বৃদ্ধি

জলতলের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার জন্য জোয়ারের সময় নদীবাঁধ ভেঙে বন্যার প্রকোপও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বন্যার ফলে লবণাক্ত জল প্রবেশ করে বহু উর্বর কৃষিজমি চাষের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে এবং জলঘটিত রোগব্যাধির প্রকোপও বাড়ছে। বিশেষ করে বর্ষাকালে বন্যার কারণে জনজীবন অস্থির হয়ে পড়ে এবং সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়।

লোহাচড়া, ঘোড়ামারা ও নিউমুর দ্বীপের বর্তমান পরিস্থিতি

১. লোহাচড়া দ্বীপ

লোহাচড়া দ্বীপ, যা হুগলি নদীর মোহনায় অবস্থিত, ১৯৮০-এর দশকে সম্পূর্ণ জলের তলায় চলে যায়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে উপগ্রহচিত্রে দেখা গেছে যে পলি সঞ্চয়ের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় দ্বীপটি আবার কিছুটা জেগে উঠেছে। কিন্তু এটি এখনও বাসযোগ্য নয় এবং এখানে আগের মত জনবসতি ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই।

২. ঘোড়ামারা দ্বীপ

হুগলি নদীর মোহনায় সাগরদ্বীপের উত্তরে অবস্থিত ঘোড়ামারা দ্বীপটি বর্তমানে সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এই দ্বীপটির খাসিমারা, লক্ষ্মীনারায়ণপুর প্রভৃতি জনবহুল গ্রাম ইতিমধ্যেই জলমগ্ন হয়েছে। হাটখোলা, মন্দিরতলা, চুনপুরী প্রভৃতি গ্রামগুলিও আগামী দিনে জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই কারণে এখানকার অধিবাসীদের জীবিকা নির্বাহ ও বাসস্থান সংকটে পড়েছে।

৩. নিউমুর দ্বীপ

১৯৭০-এর দশকের প্রথম ভাগে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমানা বরাবর হাড়িয়াভাঙা নদীর মোহনা থেকে ২ কিমি দূরে নিউমুর দ্বীপটি সমুদ্র থেকে জেগে উঠলেও ২০১০ সালের পর থেকে এই দ্বীপটির আর কোনো চিহ্ন পাওয়া যায় না। অর্থাৎ এই দ্বীপটিও জলমগ্ন হয়ে গেছে। নিউমুর দ্বীপের এই বিপর্যয় থেকে আমরা বুঝতে পারি যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কতটা বিপজ্জনক হতে পারে।


২. হিমবাহ ও জলধারার মিলিত সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট প্রধান ভূমিরূপ
উত্তর: হিমবাহ ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপগুলি হলো-

১. বহিরাগত বিধবা সমভূমি: হিমবাহের গলিত জল
যখন গ্রাবরেখার প্রান্তভাগ দিয়ে চুইয়ে চুইয়ে নীচের দিকে প্রবাহিত হয়, তখন হিমবাহ গলিত জলের মধ্যে থাকা সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বালুকারাশি ও কর্দমকণা গ্রাবরেখার প্রান্তভাগে সঞ্চিত হয়ে যে বিশাল সমতলভূমির সৃষ্টি হয় তাকে বহিঃবিধৌত সমভূমি বলে।

১. বহিঃস্থ বিধবা সমভূমি: হিমবাহের গলিত জল
যখন গ্রাবরেখার প্রান্তভাগ দিয়ে চুইয়ে চুইয়ে নীচের দিকে প্রবাহিত হয়, তখন হিমবাহ গলিত জলের মধ্যে থাকা সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বালুকারাশি ও কর্দমকণা গ্রাবরেখার প্রান্তভাগে সঞ্চিত হয়ে যে বিশাল সমতলভূমির সৃষ্টি হয় তাকে বহিঃবিধৌত সমভূমি বলে।

2. ড্রামলিন : বহিঃবিধৌত সমভূমির উপর

হিমবাহ দ্বারা বাহিত নুড়ি, বালি, কাদা, পলি প্রভৃতি সঞ্জিত হয়ে উল্টানো নৌকা বা চামচের মতো যে ভূমিরূপ তৈরি হয়, তাকে ড্রামলিন বলে।

3. কেম ও এস্কার : হিমবাহ বাহিত নুড়ি, বালি,

কাদা, পলি প্রভৃতি জমা হয়ে যে ত্রিকোণাকার দ্বীপের ন্যায় যে ভূমিরুপ গঠন করে তাকে কেম বলে। হিমবাহের তলদেশে নুড়ি, বালি, পলি, কাদা প্রভৃতি জমা হয়ে গঠিত হওয়া আকাবাঁকা সংকীর্ণ শৈলশিরাকে বলা হয় এস্কার।

4. কেটল ও কেটল হ্রদ : বহিঃবিধৌত

সমভূমিতে অনেক সময় বরফের টুকরো থেকে যায়। পরবর্তীতে সেই বরফের টুকরোগুলি গলে গেলে অঞ্চলটি গর্তরূপে অবস্থান করে। এ জাতীয় গর্তকে বলা হয় কেটল। আবার কেটলগুলি জলপূর্ণ হয়ে যে হ্রদের সৃষ্টি করে, তাকে বলা হয় কেটল হ্রদ।


(ক) হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ভূমিরূপ:

হিমবাহের সঞয়কার্যকে দুটি ভাগে ভাগ করা  যায়।

 যথা- [1] পর্বতের উপরিভাগে সঞয় এবং
[2] পর্বতের পাদদেশে সঞ্চয় বা হিমবাহ ও জলধারার মিলিত সঞয়। এর ফলে বিভিন্ন প্রকার ভূমিরূপ গঠিত হয়।

1. পর্বতের উপরিভাগে সঞ্চয়:

(i) গ্রাবরেখা: উৎপত্তি: পার্বত্য উপত্যকা দিয়ে
যাওয়ার সময় ক্ষয়জাত পদার্থগুলি ওই হিমবাহের সঙ্গে বাহিত হয়ে উপত্যকার বিভিন্ন অংশে সঞ্চিত হয়। সঞ্চিত এইসব পদার্থ গ্রাবরেখা বা মোরেন নামে পরিচিত।

শ্রেণিবিভাগ: অবস্থানের পার্থক্য অনুসারে
বিভিন্ন প্রকার গ্রাবরেখা দেখতে পাওয়া যায়, যেমন-

[a] পার্শ্ব গ্রাবরেখা: হিমবাহের প্রবাহপথের দু-
পাশে হিমবাহের সাথে বাহিত পদার্থসমূহ সঞ্চিত হলে তাকে বলে পার্শ্ব গ্রাবরেখা।

[b] প্রান্ত গ্রাবরেখা: হিমবাহের প্রবাহপথের
শেষপ্রান্তে ওইসব পদার্থ সঞ্চিত হলে, তাকে বলে প্রান্ত গ্রাবরেখা।

[c] মধ্য গ্রাবরেখা: দুটি হিমবাহ পাশাপাশিমিলিত হলে মাঝখানে সৃষ্টি হয় মধ্য গ্রাবরেখা।

[d] ভূমি গ্রাবরেখা: হিমবাহের তলদেশে গ্রাবরেখা সঞ্চিত হলে তাকে ভূমি গ্রাবরেখা বলে। আকৃতি ও প্রকৃতি অনুসারে গ্রাবরেখা চার ভাগে বিভক্ত, যেমন-

[a] অবিন্যস্ত গ্রাবরেখা: হিমবাহের সামনে
ইতস্তত বা বিক্ষিপ্তভাবে গ্রাবরেখা গড়ে উঠলে অবিন্যস্ত গ্রাবরেখার সৃষ্টি হয়।

[b] বলয়ধর্মী গ্রাবরেখা: গ্রাবরেখা বলয়াকারে
সৃষ্টি হলে তাকে বলয়ধর্মী গ্রাবরেখা বলে।

[c] রোজেন গ্রাবরেখা: একটির ওপর একটি গ্রাবরেখা থাকলে রোজেন গ্রাবরেখার সৃষ্টি হয়।

[d] স্তরায়িত গ্রাবরেখা: হিমবাহ দ্বারা বাহিত পদার্থ সমুদ্র তলদেশে সঞ্চিত হলে স্তরায়িত গ্রাবরেখার সৃষ্টি হয়।
উদাহরণ: পূর্ব হিমালয়ে জেমু হিমবাহের প্রান্তে তিস্তা নদীর উচ্চ অববাহিকায় বিভিন্ন গ্রাবরেখা আছে।
(II) আগামুক বা ইরাটিক: হিমবাহের সঙ্গে

বহুদূর থেকে বিভিন্ন আকৃতির। শিলাখণ্ড বাহিত হয়ে এসে কোনো স্থানে সঞ্চিত হলে যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে, তা আগামুক বা ইরাটিক নামে পরিচিত।

বৈশিষ্ট্য: [a] আগামুক হিমবাহের সঞয়
কাজের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ। [b] এর শিলাধর্মের সঙ্গে স্থানীয় শিলাধর্মের কোনো মিল থাকে না।

[c] এগুলি কঠিন শিলায় গঠিত হয়।
উদাহরণ: কাশ্মীরের পহেলগামের উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে আগামুক দেখতে পাওয়া যায়।

2. পর্বতের পাদদেশে সঞ্চয় বা হিমবাহ ও জলধারার মিলিত কাজের ফলে গঠিত
ভূমিরূপ: পর্বতের পাদদেশে হিমবাহের

প্রান্তসীমায় (অর্থাৎ হিমরেখার নীচে) হিমবাহ ও হিমবাহগলিত জলধারা মিলিতভাবে কিছু ভূমিরূপ গঠন করে, যেমন-

(i) বহিঃধৌত সমভূমি: উৎপত্তি: প্রান্ত
গ্রাবরেখার শেষে বরফগলা জলপ্রবাহের মাধ্যমে হিমবাহবাহিত নুড়ি, কাকর, বালি বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে সঞ্চিত হলে যে সমভূমিরসৃষ্টি হয়, তাকে বলে বহিঃধৌত সমভূমি বা আউট-ওয়াশ প্লেন।

বৈশিষ্ট্য: [a] বহিঃধৌত সমভূমি হিমবাহ ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ। [b] বহিঃধৌত সমভূমিতে অনেকসময় কোনো গর্তে হিমবাহগলা জল জমে হ্রদের সৃষ্টি হয়।

উদাহরণ: উত্তর আমেরিকার কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ হ্রদ অঞ্চলে এরূপ সমভূমি দেখা যায়।

ii) ড্রামলিন: উৎপত্তি: বহিঃধৌত সমভূমিতে
বা তার কাছে হিমবাহ ও জলধারাবাহিত প্রস্তরখণ্ড, নুড়ি, কাকর, বালি প্রভৃতি এমনভাবে টিলার মতো সঞ্চিত হয় যে, সেগুলিকে দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন উলটানো নৌকা বা চামচ উলটানো অবস্থায় আছে। এই ধরনের ভূমিরূপগুলি ড্রামলিন নামে পরিচিত। যেসব জায়গায় একসঙ্গে অনেক ড্রামলিন অবস্থান করে সেই জায়গাকে দূর থেকে ডিম ভরতি ঝুড়ির মতো দেখতে লাগে। এজন্য ড্রামলিন অধ্যুষিত অঞ্চলকে ডিমের ঝুড়ি ভূমিরূপ (Basket of Eggs Topography) বলা হয়।

উদাহরণ: আয়াল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে এই ধরনের ভূমিরূপ দেখা যায়।

বৈশিষ্ট্য: [a] ড্রামলিন হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ। [b] এগুলির উচ্চতা 6 মি থেকে 60 মি হয়। [c] এগুলি হিমবাহপ্রবাহের দিকে। অমসৃণ ও খাড়াই এবং বিপরীত দিকে মসৃণ ও ঢালু হয়।

উদাহরণ: সুইটজারল্যান্ডের আল্পস পর্বতে এই ধরনের ভূভাগ দেখা যায়।

(iii) কেম: উৎপত্তি: হিমবাহের শেষপ্রান্তে
হিমবাহবাহিত শিলাখণ্ড, নুড়ি, কাকর, বালি, কাদা প্রভৃতি পদার্থকে যখন হিমবাহগলিত জলধারা বহন করে নিয়ে গিয়ে কোনো বড়ো জলাভূমি বা হ্রদে সঞ্চয় করে ত্রিকোণাকার বা বদ্বীপের মতো ভূমিরূপ গড়ে তোলে, তখন তাকে বলা হয় কেম।

বৈশিষ্ট্য: [a] কেম হিমবাহ ও জলধারার মিলিত
কার্যের ফলে গড়ে ওঠা একটি ভূমিরূপ।
 [b] হিমবাহ উপত্যকার দু-পাশে কেম সৃষ্টি হলে তাকে কেম মঞ্চ বলে।

উদাহরণ: ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের নরফেকেন গ্লাভেন উপত্যকায় কেম ও কেম সোপান আছে।

iv) এসকার: উৎপত্তি: অনেক সময়
হিমবাহবাহিত প্রস্তরখণ্ড, নুড়ি, কাকর, বালি প্রভৃতি হিমবাহগলিত জলধারার মাধ্যমে পরিবাহিত হয়ে পর্বতের পাদদেশে আকাবাকা শৈলশিরার মতো ভূমিরপ গঠন করে। একে এসকার বলা হয়।

বৈশিষ্ট্য: [a] এসকারগুলির উচ্চতা প্রায় 3
থেকে 5 মিটার হয়। [b] এগুলি আঁকাবাঁকা ও সংকীর্ণ হয় এবং দৈর্ঘ্যে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত হয়।

উদাহরণ: ফিনল্যান্ডের পুনকাহারয়ু এসকারের উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।

(v) কেটল: উৎপত্তি: কোনো কোনো সময় বহিঃধৌত সমভূমিতে বিরাট বিরাট বরফের চাই নানা ধরনের অবক্ষেপের মধ্যে চাপা পড়ে থাকে। পরে যখন ওই বরফ গলে যায়, তখন সেখানে বেশ বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এই গর্তগুলিই কেটল নামে পরিচিত। পরবর্তীকালে ওইসব গর্তে হিমবাহ গলিত জল জমে যে হ্রদের সৃষ্টি হয় তাকে বলে কেটল হ্রদ।

উদাহরণ: স্কটল্যান্ডের উত্তরে ওকনি দ্বীপে কে এবং কেটল হ্রদ আছে।

vi) নব: উৎপত্তি: হিমবাহবাহিত পাথর, নুড়ি,
কাকর প্রভৃতি হিমবাহ গলিত জলধারার মাধ্যমে বহিঃধৌত সমভূমির ওপর ছোটো ছোটো টিলার আকারে সঞ্চিত হলে সেই টিলাগুলিকে নব বলে।

উদাহরণ: আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের হ্রদ অঞ্চলে বহু নব আছে।

৩. নিরক্ষীয় জলবায়ুর অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য

নিরক্ষীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য : নিরক্ষীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলি হল –

1. বার্ষিক গড়

উষ্ণতা: সারাবছর প্রায় একই রকম উষ্ণতা থাকে। বার্ষিক গড় উষ্ণতা প্রায় 27 °সে। ২)

বার্ষিক উষ্ণতার পার্থক্য: উষ্ণতার প্রসর খুব

কম। বার্ষিক উষ্ণতার পার্থক্য 20° সেলসিয়াস থেকে 3 সেলসিয়াস।

৩) ঋত পিরবর্তন:

নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে ঋতুপরিবর্তন হয় না।

(8) 4 o'clock Rain: বিকেলের দিকে আকাশ

মেঘাচ্ছন্ন থাকে ও প্রতিদিন বিকালের। দিকে 4টে নাগাদ পরিচলন বৃষ্টিপাত হয়। এই

বৃষ্টিপাতকে 4 o'clock Rain বলে।

৫) ক্রান্তীয়
শীতকাল: অপরাহ্নে বৃষ্টিপাত হয় বলে রাতে

বেশ আরামদায়ক আবহাওয়া বিরাজ করে। এজন্য এখানকার রাত ক্রান্তীয় শীতকাল নামে

পরিচিত। ৬) বৃষ্টিপাত: এখানে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় 250 সেমি। ৭)

শান্তাবথা: বিপরীতধর্মী বায়ুর প্রাধান্য না থাকায় এখানে তেমন কোনো ঝড় হয় না। ফলে এখানে শান্তাবস্থা বিরাজ করে। ৪) আর্দ্রতা: এই অঞ্চলে সারাবছরই বায়ুর আর্দ্রতা খুব বেশি (80%-90%) থাকে।

৪. জোয়ারভাটার ফলাফল বর্ণনা করো ।

[  ] ভূমিকা:
চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণবল ও পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে সমুদ্রের জল নিয়মিত ওঠানামা করে। একে জোয়ারভাটা বলা হয়।

[  ] ফলাফল:
1. ভূমিক্ষয় ও সঞ্চয়:
জোয়ারে জল উঠলে উপকূল প্লাবিত হয় এবং ভাটায় মাটি ক্ষয় হয়ে নতুন ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়।
2. বন্দর গঠনে সহায়ক:
জোয়ারের সময় জাহাজ চলাচলের গভীর জল তৈরি হয়; ফলে উপকূলীয় বন্দর স্থাপন সহজ হয়।
3. বিদ্যুৎ উৎপাদন:
জোয়ারভাটার শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় (যেমন—দিঘায় প্রকল্পের পরিকল্পনা চলছে)।
4. মৎস্যচাষে উপকারী:
জোয়ারে পুষ্টিকর পলি জমে মাছ ও চিংড়ির প্রজনন বৃদ্ধি পায়।
5. পরিবেশের পরিবর্তন:
জোয়ারভাটার ফলে কিছু স্থানে মাটির লবণাক্ততা বাড়ে ও কৃষিকাজে প্রভাব ফেলে।


[  ] উপসংহার:
জোয়ারভাটা উপকূলীয় অঞ্চলের ভূমিরূপ, পরিবেশ ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।


৫.২ নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলি থেকে যে-কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও:

১. হিমালয়ের দৈর্ঘ্য বরাবর শ্রেণিবিভাগ

1. পশ্চিম হিমালয়
অবস্থান: জম্মু, কাশ্মীর ও হিমাচল প্রদেশে।
বৈশিষ্ট্য: পাহাড় সবচেয়ে উঁচু, চূড়াগুলো বরফে ঢাকা থাকে।
গুরুত্বপূর্ণ চূড়া: কাঞ্চনজঙ্ঘা।
নদী: ইন্ডাস ও তার শাখা নদীগুলোর উৎস।
পরিবেশ: শীতল আবহাওয়া, বরফে ঢাকা পাহাড়।

2. মধ্য হিমালয়
অবস্থান: নেপাল ও উত্তর ভারতের অংশ।
বৈশিষ্ট্য: পাহাড় তুলনামূলকভাবে ছোট, উপত্যকা ও নদী বেশি।
মানুষের বসতি: শহর ও দুর্গ।
কৃষি ও বন: চা বাগান এবং কৃষি সম্ভাবনা বেশি।

3. পূর্ব হিমালয়
অবস্থান: সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশ।
বৈশিষ্ট্য: পাহাড় সংকীর্ণ, নদী ও উপত্যকার সংখ্যা বেশি।
বৃষ্টি ও বন: বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টি, ঘন বন ও জীববৈচিত্র্য।
পরিবেশ: ছোট নদী ও পাহাড়ি রাস্তা বেশি।


২. ভারতের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য

1. মৌসুমি প্রকৃতি
বৃষ্টি মূলত বর্ষাকালে হয়।
শীতকালে অনেক অঞ্চল শুষ্ক থাকে।

2. তাপমাত্রার বৈচিত্র্য
গ্রীষ্মে দেশ উষ্ণ।
শীতে উত্তরের অঞ্চল শীতল, দক্ষিণ ও উপকূল স্থিতিশীল।

3. বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টি
নদী ও জলাধার পূর্ণ হয়।
কৃষি ও জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

4. ভৌগোলিক প্রভাব
উত্তরের অঞ্চল শীতল, দক্ষিণ ও উপকূলীয় অঞ্চলে উষ্ণ।
পাহাড় ও সমুদ্রের দূরত্ব তাপমাত্রা ও আর্দ্রতায় পার্থক্য আনে।

5. সমুদ্র ও স্থলের প্রভাব
উপকূলীয় অঞ্চলে আর্দ্রতা বেশি।
অভ্যন্তরীণ এলাকায় শুষ্কতা বেশি।
সমুদ্রের কাছাকাছি তাপমাত্রার পার্থক্য কম।

৩. ভারতের প্রধান কফি উৎপাদন অঞ্চল

ভারত কফি উৎপাদনের জন্য দক্ষিণ ভারতের পাহাড়ি ও উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে প্রসিদ্ধ। কফি মূলত উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ুতে ভালোভাবে উৎপাদিত হয়।

কর্ণাটক:
ভারতের সবচেয়ে বড় কফি উৎপাদনকারী রাজ্য।
বিশেষত কোগি ও চামরাজনগর অঞ্চলে কফি বাগান বেশি।
উচ্চতা, তাপমাত্রা এবং বর্ষাকালীন বৃষ্টি কফি চাষের জন্য উপযুক্ত।

তামিলনাডু:
পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে, যেমন নিলগিরি হিলসে কফি চাষ হয়।
পরিবেশ এবং মাটির ধরনের কারণে ভালো মানের কফি পাওয়া যায়।

কেরালা:
উপকূলীয় ও পাহাড়ি অঞ্চলে কফি উৎপাদিত হয়।
এখানে আর্দ্রতা বেশি হওয়ায় কফি গাছ ভালোভাবে বেড়ে ওঠে।

[  ] সংক্ষেপে: দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক, তামিলনাডু ও কেরালার পাহাড়ি ও আর্দ্র অঞ্চলগুলো কফি উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।


৪. জলপথকে ‘উন্নয়নের জীবনরেখা’ বলা হয়

জলপথ অর্থাৎ নদী, নদীযোগে সমুদ্রপথ বা অন্যান্য পানিপথ, মানুষের জীবন ও দেশের অর্থনীতির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।

মানুষ ও পণ্যের পরিবহন:
জলপথ ব্যবহার করে মানুষ ও পণ্য দ্রুত ও সহজে একটি স্থানে অন্য স্থানে পৌঁছাতে পারে।
বিশেষত বড় ও ভারী পণ্য পরিবহনে নদী ও সমুদ্রপথ খুব কার্যকর।

অর্থনৈতিক উন্নয়ন:
জলপথ ব্যবসা, কৃষি ও শিল্পের প্রসার ঘটায়।
বাণিজ্য সহজ হয়, ফলে দেশের অর্থনীতি উন্নত হয়।

সংযোগ ও যোগাযোগ:
দূরবর্তী অঞ্চলগুলোর সঙ্গে মূল শহর ও বাজারের সংযোগ বজায় থাকে।
তাই নদী ও সমুদ্রপথকে বলা হয় দেশের ‘উন্নয়নের জীবনরেখা’।

[  ]  সংক্ষেপে: জলপথ মানুষ ও পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও বাণিজ্যিক উন্নয়ন ঘটায়।


৬। প্রশ্নপত্রের সঙ্গে প্রদত্ত ভারতের রেখামানচিত্রে নিম্নলিখিতগুলি উপযুক্ত প্রতীক ও নামসহ চিহ্নিত করে মানচিত্রটি উত্তরপত্রেরসঙ্গে জুড়ে দাও:

৬.১ ভারতের প্রধান প্রশাসনিক কেন্দ্র
৬.২ K2
৬.৩ পুলিকট হ্রদ
৬.৪ বছরে দুবার বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চল পর্ষদ প্রদত্ত প্রশ্ন,
৬.৫ একটি পলি মৃত্তিকা অঞ্চল 
৬.৬ ভারতে অরণ্য গবেষণাকারী সংস্থা
৬.৭ ভারতের চা গবেষণাকেন্দ্র 
৬.৮ দক্ষিণ ভারতের একটি জাহাজ নির্মাণকেন্দ্র
৬.৯ ভারতের সর্বাধিক জনঘনত্বপূর্ণ রাজ্য
৬.১০ পূর্বউপকূলের একটি স্বাভাবিক বন্দর 


Class 10 Geography Suggestion 2026 | Madhyamik Geography 100% Common Suggestion
Class 10 Geography Suggestion 2026 | Madhyamik Geography 100% Common Suggestion

Get the best Class 10 Geography Suggestion 2026 for the upcoming Madhyamik Examination. This suggestion is prepared following the latest WBBSE syllabus and recent question trends. It includes 100% common MCQ, very short, short, and long questions along with important map works. These suggestions are designed by experienced teachers so that every student can get maximum marks in Geography.

Madhyamik 2026 পরীক্ষার্থীদের জন্য এই Class 10 Geography Suggestion 2026 পোস্টটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, মানচিত্রভিত্তিক প্রশ্ন, একাধিক নির্বাচনী (MCQ) প্রশ্ন, সংক্ষিপ্ত ও বিশদ উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন। গত কয়েক বছরের প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করে এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে পরীক্ষায় 100% Common পাওয়া যায়।

Geography বিষয়টি অনেকের কাছেই কঠিন মনে হয়, কিন্তু সঠিক প্রস্তুতি নিলে এটি সবচেয়ে নম্বর পাওয়া সহজ বিষয়গুলির একটি। তাই এই সাজেশনটি মনোযোগ দিয়ে পড়ো এবং প্রতিটি অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ভালোভাবে অনুশীলন করো।
বিশেষত মানচিত্রচিহ্নিত প্রশ্ন, ভূ-প্রকৃতি, আবহাওয়া, জনসংখ্যা, এবং অর্থনৈতিক কার্যকলাপ অধ্যায়গুলিতে বিশেষ জোর দাও।

এই Class 10 Geography Suggestion 2026 পোস্টে দেওয়া হয়েছে পরীক্ষায় আসতে পারে এমন সম্ভাব্য প্রশ্নগুলির একটি নির্ভরযোগ্য তালিকা। এটি তোমার Madhyamik 2026 পরীক্ষার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি গাইড হিসেবে কাজ করবে। শেষ পর্যন্ত নিয়মিত রিভিশন করলে এই সাজেশন থেকেই বেশিরভাগ প্রশ্ন পরীক্ষায় আসবে — এক কথায় এটি একটি 100% Common Suggestion।

Tags: Class 10 Geography Suggestion 2026, Madhyamik Geography Suggestion, WBBSE Suggestion 2026, 100% Common Geography Suggestion, Madhyamik 2026 Geography, Geography MCQ 2026, Class 10 Suggestion 2026, Madhyamik Geography Important Questions, Geography Suggestion PDF 2026, West Bengal Madhyamik Suggestion
Class 10 Geography Suggestion 2026
Madhyamik Geography Suggestion 2026
Madhyamik 2026 Geography 100% Common Suggestion
Class 10 Geography Important Questions 2026
Madhyamik Geography MCQ SAQ Long Suggestion 2026
Geography Map Work Suggestion Class 10 2026
WBBSE Geography Suggestion 2026 PDF Download
Madhyamik Geography Suggestion in Bengali 2026
Class 10 Geography Notes and Suggestion 2026
Madhyamik Geography Sure Common Suggestion 2026
Class 10 Madhyamik Suggestion Geography Important Topics
Madhyamik Exam 2026 Geography Suggestion for WBBSE Students
Geography Suggestion for Class 10 Bengali Medium 2026
Class 10 Geography MCQ Question with Answer 2026
Madhyamik Geography 2026 Short and Long Question Suggestion
100% Common Madhyamik Geography Suggestion 2026 West Bengal
Geography Suggestion 2026 for Madhyamik Students in Bengali
Madhyamik Geography Suggestion 2026 PDF Free Download
Class 10 Geography Suggestion and Map Work Practice 2026
WBBSE Madhyamik Geography Suggestion 2026 Bengali English Mixed
Geography Suggestion 2026 Class 10 Madhyamik Board
Best Geography Suggestion 2026 for Class 10 Students
Madhyamik 2026 Geography Preparation Tips and Important Questions
Geography Suggestion 2026 for West Bengal Class 10 Exam
Class 10 Geography Important Map Questions 2026


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

পোস্ট পড়ার পর ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না ।
( After reading post not forgetting comments. ) 👆

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
"ACSBangla.com: পশ্চিমবঙ্গের স্কুল-কলেজের খবর, বৃত্তি, চাকরি সংক্রান্ত আপডেট, মাধ্যামিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সাজেশন। এছাড়াও এখানে পাবেন পশ্চিমবঙ্গের নতুন প্রকল্পের খবর, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও বাংলার সর্বশেষ সংবাদ। ছাত্রছাত্রীদের জন্য উপযোগী সাজেশন ও চাকরিপ্রার্থীদের জন্য নিয়মিত আপডেট সহ আরও অনেক কিছু জানতে ভিজিট করুন ACSBangla.com। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা, চাকরি ও প্রজেক্ট সংক্রান্ত আপডেট পেতে থাকুন আমাদের সাথে।" "ACSBangla.com: Get updates on West Bengal school and college news, scholarships, jobs, and exam suggestions for Madhyamik and HS. Also, find information on new projects, important news, and the latest updates from Bengal. Visit ACSBangla.com for student-friendly suggestions and regular updates for job seekers. Stay tuned for updates on education, jobs, and projects in West Bengal." @EnjoyExam @NewsAcsBangla

🔍 সাজেশন, প্রশ্ন বা নোট খুঁজতে এখানে সার্চ করুন:

👉 উদাহরণ: "Class 10 Geography Suggestion 2026", "Class 11 EVS Notes", "2025 Madhyamik Question Paper"