Class 10 Geography Suggestion 2026 | Madhyamik Geography 100% Common Suggestions
১। বিকল্পগুলির থেকে সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো :-
১.১ হিমবাহ ও পর্বতগাত্রের মধ্যে যে সংকীর্ণ ফাঁক দেখা যায়, তাকে বলে-
(ক) ক্রেভাস
(খ) করি
(গ) এরিটি
(ঘ) বার্গমুন্ড।
১.২ মরুভূমিতে অর্ধচন্দ্রাকার বালিয়াড়িগুলিকে বলা হয়-
(ক) বার্খান
(খ) সিফ
(গ) লোয়েস
(ঘ) গৌর।
১.৩ বায়ুমণ্ডলে প্রায় 20.95% পরিমাণ আছে-
(ক) NO₂
(খ) CO₂
(গ) O₂
(ঘ) CH₄ গ্যাস।
১.৪ পৃথিবীর অ্যালবেডোর পরিমাণ প্রায়-
(ক) 32%
(খ) 33%
(গ) 34%
(ঘ) 38%।
১.৫ বেঙ্গুয়েলা স্রোত দেখা যায়-
(ক) উত্তর আটলান্টিক
(খ) দক্ষিণ আটলান্টিক
(গ) উত্তর প্রশান্ত
(ঘ) দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে।
১.৬ মরা কোটালের সময় চন্দ্র ও সূর্য পৃথিবীর সাপেক্ষে নিম্নলিখিত যে কোণে অবস্থান করে-
(ক) ১৮০°
(খ) ৩৬০°
(গ) ৯০°
(ঘ) ১২০°
১.৭ পারদ দূষণের ফলে
(ক) ব্ল্যাকফুট
(খ) মিনামাটা
(গ) ডিসলেক্সিয়া
(ঘ) ইতাই ইতাই রোগ হয়।
১.৮ 'মৌসুমি বিস্ফোরণ' প্রথমে দেখা যায়
(ক) কেরালায়
(খ) কর্ণাটকে
(গ) মেঘালয়ে
(ঘ) পশ্চিমবঙ্গে।
১.৯ বৃষ্টির জল দ্বারা মাটির ওপরের স্তর চাদরের আকারে অপসৃত হয় যে ক্ষয় পদ্ধতির মাধ্যমে, তা হল-
(ক) শিট ক্ষয়
(খ) গালি ক্ষয়
(গ) রিল ক্ষয়
(ঘ) র্যাভাইন ক্ষয়।
১.১০ হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলের 4000 মিটারের বেশি উচ্চতায় যে অরণ্য দেখা যায়, তা হল-
(ক) পাইন
(খ) মিশ্র
(গ) সরলবর্গীয়
(ঘ) আল্পীয়।
১.১১ যে ফসল চাষে বলউইভিল পোকার আক্রমণ ঘটে, তা হল
(ক) পাট
(খ) ধান
(গ) কার্পাস
(ঘ) ইক্ষু।
১.১২ 'গ্লোবাল শিল্প' বলা হয়
(ক) লৌহ-ইস্পাত শিল্পকে
(খ) পেট্রোরসায়ন শিল্পকে
(গ) তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পকে
(ঘ) পর্যটন শিল্পকে।
১.১৩ ভারতের দীর্ঘতম জাতীয় সড়কপথটি হল
(ক) 1 নং
(খ) ৪৪ নং
(গ) 6 নং
(ঘ) 7 নং জাতীয় সড়ক।
১.১৪ ভারতের সূর্য সমলয় উপগ্রহ হল
(ক) INSAT
(খ) IRS
(গ) LANDSAT
(ঘ) SPOTI
বিভাগ-খ
২.১ নিম্নলিখিত বাক্যগুলি শুদ্ধ হলে পাশে 'সু' এবং অশুদ্ধ হলে পাশে 'অ' লেখো: (যে-কোনো ছয়টি)
২.১.১ নদীর সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট অন্যতম একটি ভূমিরূপ হল অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ। (সত্য/মিথ্যা)
২.১.২ চিনুক ফ্রান্সের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি উদ্বু বায়ু। (সত্য/মিথ্যা)
(চিনুক ফ্রান্সের মধ্য দিয়ে কোনো নদী নয়, এটি “উদ্বু বায়ু”ও নয়।)
২.১.৩ প্রতিযোগ অবস্থানে পৃথিবী চাঁদ ও সূর্যের মাঝে অবস্থান করে। (সত্য/মিথ্যা)
২.১.৪ মূলত জৈব বর্জ্য থেকে বায়ুদূষণ ঘটে। (সত্য/মিথ্যা)
২.১.৫ পক্ প্রণালী ভারতকে ভুটান থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। (সত্য/মিথ্যা)
(পক্ প্রণালী ভারতকে ভুটান থেকে আলাদা করেনি; এটি পাকিস্তান ও ভারত বা অন্য অঞ্চলের জন্য প্রযোজ্য)
২.১.৬ কর্ণাটক মালভূমির পশ্চিমের ঢেউ খেলানো ভূভাগ মালনাদ নামে পরিচিত। (সত্য/মিথ্যা)
২.১.৭ কলকাতা একটি সমুদ্র বন্দর। (সত্য/মিথ্যা)
(কলকাতা সমুদ্র বন্দর নয়; এটি হুগলি নদীর তটে অবস্থিত নদীবন্দর
২.২ উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো (যে-কোনো ছয়টি):
২.২.১ প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের পদার্থের স্থান পরিবর্তনকে _________________________।
ক্ষয় বা অপক্ষয় (Erosion
২.২.২ যে পরিমাণ সূর্যরশ্মি পৃথিবী ও বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে, তাকে _________________________।
ইনসোলেশন
২.২.৩ বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রস্রোত বিক্ষিপ্ত হয় _______________ শক্তির প্রভাবে।
সূর্যের তাপশক্তি
২.২.৪ খনিজের প্রভাবে ল্যাটেরাইট মাটির রং লাল হয়। _________________________।
আয়রন অক্সাইড
২.২.৫ নদীর বদ্বীপ অঞ্চলকে 'দক্ষিণ ভারতের শস্যভাণ্ডার' বলে। _________________________।
ছত্তিশগড়
২.২.৬ ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, ভারতের সর্বনিম্ন লিঙ্গ অনুপাতযুক্ত রাজ্যটি হল _________________________।
তামিলনাডু
২.২.৭ SPOT নামক দূরসংবেদন (সূর্য সমলয়) উপগ্রহটি _________________________ থেকে পরিচালিত।
ফ্রান্স
২.৩ একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও (যে-কোনো ছয়টি)
১. মরু অঞ্চলে পর্বতের পাদদেশে সৃষ্ট সমভূমির নাম কী?
∆পিডমন্ট সমভূমি
২. কোন স্তরে প্রোটন ও ইলেকট্রনের স্থায়ী চৌম্বকক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে?
আয়নমণ্ডল
৩. সমুদ্রের মধ্যভাগে সৃষ্ট স্রোতহীন জলাবর্ত কী নামে পরিচিত?
সারগাসো সাগর
৪. একটি তেজস্ক্রিয় বর্জ্যের নাম লেখো।
ইউরেনিয়াম-২৩৫
৫. কোন জলপ্রপাতকে 'ভারতের নায়াগ্রা' বলা হয়?
জোগ জলপ্রপাত
৬. কোন প্রাকৃতিক অরণ্যে গাছের পাতা ছুঁচোলো হয়?
শুষ্ক (কাঁটাঝোপ) অরণ্য
৭. ভারতের বৃহত্তম পেট্রোরসায়ন শিল্পকেন্দ্রটি কোথায় অবস্থিত?
জামনগর (গুজরাট)
৮. একটি এককবিহীন স্কেলের নাম লেখো।
রাফ স্কেল
২.৪ বামদিকের সঙ্গে ডানদিকেরগুলি মিলিয়ে লেখো:
বামদিক ডানদিক
|------------------------------|---------------------------
| ১. গ্রাবরেখা | (১) দক্ষিণ ভারত
| ২. শিলং | (২) শ্রীনগর
| ৩. আম্রবৃষ্টি | (৩) হিমবাহের সঞ্চয়কার্য
| ৪. জম্মু ও কাশ্মীর | (৪) বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল
১. ৪
২. ১
৩. ৩
৪. ২
বিভাগ - গ
৩। নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : (বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয়)
১. নগ্নীভবন কাকে বলে?
শব্দটির অর্থ 'অনাবৃত থাকা'। সংজ্ঞাঃ- বহির্জাত অবরোহন প্রক্রিয়ায় আবহবিকার, পুঞ্জিত ক্ষয় ও ক্ষয়ীভবন এই তিনটি প্রক্রিয়ার যৌথ কার্যকলাপে ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগের শিলাস্তর বিচ্ছিন্ন ও অপসারিত হয়ে ভূমির উচ্চতা হ্রাস পায় এবং নীচের শিলাস্তর উন্মুক্ত হয় তাকে নগ্নীভবন বলে।
অথবা, বহিঃবিধৌত সমভূমি কাকে বলে?
বহিঃধৌত সমভূমি (Outwash plains) : হিমবাহ ও হিমবাহগলিত জলধারার মিলিত সঞ্চয়কার্যের ফলে যে সমস্ত ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, বহিঃধৌত সমভূমি হল তাদের মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপ । উচ্চ পর্বতের পাদদেশে হিমবাহ এসে পৌঁছালে তা গলে গিয়ে জলে পরিণত হয়, তখন বরফগলা জলপ্রবাহের মাধ্যমে হিমবাহবাহিত প্রস্তরখণ্ড, পলি, বালি, নুড়ি, কাঁকর প্রভৃতি পদার্থসমূহকে পর্বতের পাদদেশে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে সঞ্চিত করে সমপ্রায়ভূমি গড়ে তোলে । এরূপ সমপ্রায়ভূমিকে বহিঃধৌত সমভূমি বলে । আইসল্যাণ্ডে ইহা সান্দুর নামে পরিচিত ।
উত্তর আমেরিকার কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ হ্রদ অঞ্চলে এরূপ সমভূমি দেখা যায় ।
২. ITCZ বলতে কী বোঝো?
ITCZ বলতে আন্তঃক্রান্তীয় অভিসরণ অঞ্চল (Intertropical Convergence Zone) বোঝায়, যা বিষুবরেখার কাছাকাছি একটি নিম্নচাপ বলয় যেখানে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের বাণিজ্য বায়ু একত্রিত হয়ে মেঘ ও ভারী বৃষ্টিপাত তৈরি করে। এই অঞ্চলটি তাপীয় বিষুবরেখার কাছে পৃথিবীকে ঘিরে থাকে এবং সূর্যের আপাত চলাচলের সাথে ঋতুভেদে এর অবস্থান উত্তর বা দক্ষিণে পরিবর্তিত হয়।
অথবা, জায়র কী?
লাতিন শব্দ 'gyre'-এর অর্থ গোল বা
৩. জীববিশ্লেষ্য বর্জ্য কাকে বলে?**
যেসব বর্জ্য সমগ্র জীবজগত অর্থাৎ পরিবেশের বিশেষ কোনো ক্ষতি করে না, সেই সব বর্জ্যকে অবিষাক্ত বা বিষহীন বর্জ্য বলে। অবিষাক্ত বর্জ্য হল জীব বিশ্লেষ্য বর্জ্য। উদাহরণ – কৃষিতে সৃষ্ট, বাড়িতে সৃষ্ট জৈব বর্জ্য ইত্যাদি।
অথবা, ইউট্রোফিকেশন বলতে কী বোঝো?
ইউট্রোফিকেশন হলো একটি জলজ বাস্তুতন্ত্রে (যেমন হ্রদ বা নদী) পুষ্টির (বিশেষ করে নাইট্রোজেন ও ফসফরাস) মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার একটি প্রক্রিয়া, যা শ্যাওলা (algae) এবং অন্যান্য জলজ উদ্ভিদকে অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। এই অতিরিক্ত উদ্ভিদ বৃদ্ধি জল থেকে অক্সিজেন কমিয়ে দেয়, যা অন্যান্য জলজ জীবের জন্য মারাত্মক হতে পারে এবং জলের গুণমান নষ্ট করে।
৪. দুন বলতে কি বোঝ?
সংজ্ঞা :
অথবা, আঁধি কী?
- এই কৃষি পদ্ধতি পাহাড়ের ঢালে চর্চা করা হয় যেখানে ফসল ফলানোর জন্য পর্যাপ্ত সমতল ভূখণ্ড নেই। অতএব, বিকল্প 4 সঠিক।
- এতে, পাহাড়ের ঢালগুলি নিয়মিত অন্তরের অনুভূমিক ধাপে রূপান্তরিত করে ফসল চাষ করা হয়।
- এগুলি ঢাল বরাবর পৃষ্ঠের প্রবাহ কমায় এবং মাটির ক্ষয় রোধে সাহায্য করে।
কোনো পদার্থের পরমাণুর মধ্যে ইলেকট্রনগুলো নির্দিষ্ট দূরত্বে বিভিন্ন খোলকে অবস্থান করে। পরমাণুতে কোনো শক্তি সরবরাহ করা হলে ইলেকট্রন এক খোলক থেকে লাফিয়ে অন্য খোলকে চলে যায় যখন ইলেকট্রনগুলো নিজ খোলকে ফিরে আসে তখন ইলেকট্রনের মধ্যে সঞ্চিত শক্তি বিকিরণ মন এই বিকিরিত শক্তিই আলো। শক্তি বিকিরণ তরঙ্গ আকারে ঘটে যা তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ। গামা রশ্মি, এক্সরে, দৃশ্যমান আলো, অবলোহিত রশ্মি এবং বেতার তরঙ্গ সবই তাড়িত চৌম্বক তরঙ্গ। সব তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গের বেগ শূন্য মাধ্যমে একই এবং তা সেকেন্ডে প্রায় ৩ লক্ষ কিলোমিটার। সব তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গের বেগ সমান হলেও এদের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বা কম্পাঙ্ক বিভিন্ন। আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অ্যাংস্ট্রম এককে পরিমাপ করা হয়।
অথবা, ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র কাকে বলে?
ভূ-পৃষ্ঠের বা পৃথিবী পৃষ্ঠের বিভিন্ন প্রাকৃতিক (ভূপ্রকৃতি, নদনদী, স্বাভাবিক উদ্ভিদ প্রভৃতি) এবং সাংস্কৃতিক উপাদানগুলিকে (রাস্তাঘাট, বাড়ি, রেললাইন, পাওয়ার লাইন প্রভৃতি) রেখা, রং ও বিভিন্ন প্রতীক চিহ্নের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয় যে চিত্রের মাধ্যমে তাকে টোপোগ্রাফিক্যাল বা ভূবৈচিত্রসূচক মানচিত্র বলে। এই মানচিত্র টোপোশিট নামেও পরিচিত
বিভাগ-ঘ
৪। সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক উত্তর দাও (বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয়)
৪.১ জিউগেন ও ইয়ার্দাঙ-এর মধ্যে পার্থক্য:
ইয়ার্দাং ও জিউগেনের মধ্যে পার্থক্য –
| বিষয় | ইয়ার্দাং | জিউগেন |
| গঠনের কারণ | বায়ুর গতিপথে কঠিন ও কোমল শিলা উল্লম্ব বা একনত ভাবে অবস্থান করলে বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে কোমল শিলা ক্ষয় পেয়ে ইয়ার্দাং গঠন করে। | বায়ুর গতিপথে কঠিন ও কোমল শিলা সমান্তরালে অবস্থান করলে বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে শৈলশিরার মতো জিউগেন গঠন করে। |
| অবস্থান | এই ভূমিরূপগুলি সাধারণত সমান্তরালভাবে অবস্থান করে। | এই ভূমিরূপের ক্ষেত্রে কঠিন শিলা কম এবং কোমল শিলা বেশি ক্ষয় পাওয়ায় ছোটো ব্যাঙের ছাতার মতো অবস্থান করে। |
| প্রকৃতি | এদের মাথাগুলি ক্ষয়কাজের ফলে ছুঁচোলো বা অসমতল প্রকৃতির হয়। | এদের মাথাগুলি সমতল চূড়াবিশিষ্ট হয়। ভূপৃষ্ঠ থেকে 3-30 মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। |
| বৈশিষ্ট্য | ইয়ার্দাং -এর মাথাগুলি ক্রমশ ক্ষয় পেয়ে ছুঁচোলো প্রকৃতির হয়, এদের নিডিল বলে। | বায়ুর ক্ষয়কাজের ফলে জিউগেনের মাথাগুলি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে চ্যাপটা আকৃতিবিশিষ্ট হয়। |
অথবা, উচ্চতা কীভাবে তাপমাত্রাকে প্রভাবিত করে:
উচ্চতা হল সমুদ্রতল বা স্থলস্তরের সাপেক্ষে কোনো বস্তু বা বিন্দুর উচ্চতা। উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে নিম্ন বায়ুচাপ এবং কম তাপ ধরে রাখার কারণে তাপমাত্রা সাধারণত হ্রাস পায়। এই সম্পর্ক বৃষ্টিপাত, বায়ু এবং জলবায়ু অঞ্চল সহ আবহাওয়ার ধরণগুলিকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে।
৪.২ 3R কী:
3R মানে হলো — Reduce, Reuse, Recycle
এগুলো পরিবেশ দূষণ কমানোর তিনটি প্রধান নীতি।
১. Reduce – অপচয় কমানো।
২. Reuse – জিনিস পুনরায় ব্যবহার করা।
৩. Recycle – বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করে নতুন জিনিস তৈরি করা।
অথবা,বর্জ্য পদার্থের পরিবেশের ওপর তিনটি প্রভাব:
৪.৩ আন্দামানের থেকে মেঘালয়ের বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হলেও উদ্ভিদের ঘনত্ব আন্দামানে বেশি কেন:
- আন্দামানে বৃষ্টি বেশি হলেও মেঘালয়ের মাটির উর্বরতা ও জলাধার বেশি হওয়ায় উদ্ভিদের ঘনত্ব বেশি।
- মেঘালয়ের ভৌগোলিক অবস্থান ও জলবায়ু উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য উপযোগী।
অথবা,বিশুদ্ধ ও অবিশুদ্ধ কাঁচামালের মধ্যে তিনটি পার্থক্য:
বিশুদ্ধ পদার্থ | অপবিত্র পদার্থ |
বিশুদ্ধ পদার্থগুলি একটি একক উপাদান বা যৌগ দ্বারা গঠিত | অশুদ্ধ পদার্থগুলি বেশ কয়েকটি উপাদান এবং যৌগ দ্বারা গঠিত |
শ্রেণীবদ্ধকরণ | |
কঠিন, তরল এবং গ্যাসীয় | ভিন্নধর্মী এবং সমজাতীয় |
বিশুদ্ধতা | |
বিশুদ্ধ পদার্থের বিশুদ্ধতা ১০০% | অপরিষ্কার পদার্থের বিশুদ্ধতা ১০০% এর কম |
৪.৪ ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রে ব্যবহৃত স্কেলের প্রকারভেদ:
১. বাক্যগত স্কেল (Statement scale) – যেমন: ১ সেমি = ১ কিমি
২. ভগ্নাংশ স্কেল (Fractional scale) – যেমন: 1 : 50,000
৩. রৈখিক স্কেল (Linear scale) – মানচিত্রে আঁকা দাগরেখা আকারে দূরত্ব দেখায়।
অথবা,উপগ্রহ চিত্রের তিনটি গুরুত্ব:
১. প্রাকৃতিক সম্পদ ও বনাঞ্চল নিরীক্ষণ করা যায়।
২. আবহাওয়া ও দুর্যোগ পর্যবেক্ষণে সহায়ক।
৩. মানচিত্র প্রণয়ন ও ভূমি ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত হয়
বিভাগ-ঙ
৫। ৫.১ নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলি থেকে যে-কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
১.লোহাচড়া, নিউমুর ও ঘোড়ামারা দ্বীপগুলির ওপর জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব
জলবায়ুর পরিবর্তন কীভাবে লোহাচড়া, ঘোড়ামারা বা নিউমুর দ্বীপকে প্রভাবিত করছে?
সুন্দরবন অঞ্চলটি হল গঙ্গা বদ্বীপের সক্রিয় অংশ। অসংখ্য দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত এই অঞ্চলে গড়ে উঠেছে পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনভূমি। যেহেতু এই অঞ্চলের দক্ষিণ সীমায় আছে বঙ্গোপসাগর, তাই বর্তমানে বিশ্ব উষ্ণায়ন তথা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সমুদ্রজলের উষ্ণতা ও উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় এখানকার দ্বীপগুলিতে তার অত্যন্ত ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে।
১. জলতল বৃদ্ধি ও দ্বীপসমূহের অবলুপ্তি
জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে সরাসরি প্রভাবগুলির একটি হল সমুদ্রজলের উচ্চতা বৃদ্ধি। সুন্দরবন অঞ্চলের সমুদ্রজলের উচ্চতা বিগত কয়েক বছর ধরে গড়ে বার্ষিক প্রায় ৫ মিলিমিটার হারে বেড়ে চলেছে। এই জলস্তরের বৃদ্ধি ভূমিক্ষয় বাড়িয়ে দিয়েছে, যার ফলে লোহাচড়া, ঘোড়ামারা ও নিউমুর দ্বীপের মত দ্বীপগুলি ধীরে ধীরে জলের তলায় চলে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের এই প্রভাবগুলি শুধু ভূগর্ভস্থ স্তরের ক্ষয় নয়, এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং জীববৈচিত্র্যের উপরও প্রভাব ফেলছে।
২. ক্লাইমেট রিফিউজি মানুষের সংখ্যাবৃদ্ধি
দ্বীপগুলি জলমগ্ন হওয়ার কারণে এখানকার বহু অধিবাসী উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। যারা সুন্দরবনের অন্যান্য অংশে বা মূল ভূখণ্ডে সরে গেছে, তারা সেখানে নতুন করে জীবনযাত্রার সংগ্রাম শুরু করেছে। এই ধরনের ক্লাইমেট রিফিউজি মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে, যা সমাজ ও অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলছে। এই সমস্যার সমাধান না করলে ভবিষ্যতে আরও বড় সামাজিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
৩. ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ বৃদ্ধি
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রজলের উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ায় সুন্দরবন অঞ্চলে ঝড়ঝঞা ও ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা এবং তীব্রতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়গুলি ম্যানগ্রোভ বনভূমি ও জনবসতি উভয়ের জন্যই অত্যন্ত ক্ষতিকর। ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিপর্যয়ের মাত্রাও বাড়ছে, যার ফলে এই অঞ্চলের পরিবেশ ও অর্থনীতি মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে
৪. ম্যানগ্রোভ বনভূমির ক্ষতি
ম্যানগ্রোভ বনভূমি সুন্দরবন অঞ্চলের একটি মহামূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। এটি শুধু জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নয়, বন্যা ও ঝড়ঝঞার হাত থেকে রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দ্বীপসমূহের অবলুপ্তি, ভূমিক্ষয় এবং ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ম্যানগ্রোভ বনভূমির অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। এই বনভূমি হারালে সুন্দরবন অঞ্চলের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে এবং এর সাথে সাথে এখানকার জীববৈচিত্র্যও বিপন্ন হবে।
৫. সমুদ্রজলের লবণতা বৃদ্ধি
বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে সমুদ্রজলের উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লবণতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই লবণাক্ত জল সুন্দরবন অঞ্চলের মিঠাজল প্রবাহ ও মাটির উর্বরতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, যা এখানকার কৃষিকাজ ও মাছচাষের জন্য বিপজ্জনক। লবণাক্ত জল প্রবেশ করে কৃষিজমি চাষের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে এবং জলঘটিত রোগব্যাধির প্রকোপও বাড়ছে, যা এখানকার জীবনযাত্রার মানকে নিচে নামিয়ে দিচ্ছে।
৬. বন্যার প্রকোপ বৃদ্ধি
জলতলের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার জন্য জোয়ারের সময় নদীবাঁধ ভেঙে বন্যার প্রকোপও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বন্যার ফলে লবণাক্ত জল প্রবেশ করে বহু উর্বর কৃষিজমি চাষের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে এবং জলঘটিত রোগব্যাধির প্রকোপও বাড়ছে। বিশেষ করে বর্ষাকালে বন্যার কারণে জনজীবন অস্থির হয়ে পড়ে এবং সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়।
লোহাচড়া, ঘোড়ামারা ও নিউমুর দ্বীপের বর্তমান পরিস্থিতি
১. লোহাচড়া দ্বীপ
লোহাচড়া দ্বীপ, যা হুগলি নদীর মোহনায় অবস্থিত, ১৯৮০-এর দশকে সম্পূর্ণ জলের তলায় চলে যায়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে উপগ্রহচিত্রে দেখা গেছে যে পলি সঞ্চয়ের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় দ্বীপটি আবার কিছুটা জেগে উঠেছে। কিন্তু এটি এখনও বাসযোগ্য নয় এবং এখানে আগের মত জনবসতি ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই।
২. ঘোড়ামারা দ্বীপ
হুগলি নদীর মোহনায় সাগরদ্বীপের উত্তরে অবস্থিত ঘোড়ামারা দ্বীপটি বর্তমানে সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এই দ্বীপটির খাসিমারা, লক্ষ্মীনারায়ণপুর প্রভৃতি জনবহুল গ্রাম ইতিমধ্যেই জলমগ্ন হয়েছে। হাটখোলা, মন্দিরতলা, চুনপুরী প্রভৃতি গ্রামগুলিও আগামী দিনে জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই কারণে এখানকার অধিবাসীদের জীবিকা নির্বাহ ও বাসস্থান সংকটে পড়েছে।
৩. নিউমুর দ্বীপ
১৯৭০-এর দশকের প্রথম ভাগে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমানা বরাবর হাড়িয়াভাঙা নদীর মোহনা থেকে ২ কিমি দূরে নিউমুর দ্বীপটি সমুদ্র থেকে জেগে উঠলেও ২০১০ সালের পর থেকে এই দ্বীপটির আর কোনো চিহ্ন পাওয়া যায় না। অর্থাৎ এই দ্বীপটিও জলমগ্ন হয়ে গেছে। নিউমুর দ্বীপের এই বিপর্যয় থেকে আমরা বুঝতে পারি যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কতটা বিপজ্জনক হতে পারে।
২. হিমবাহ ও জলধারার মিলিত সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট প্রধান ভূমিরূপ
(ক) হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ভূমিরূপ:
৪. জোয়ারভাটার ফলাফল বর্ণনা করো ।
[ ] ভূমিকা:
চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণবল ও পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে সমুদ্রের জল নিয়মিত ওঠানামা করে। একে জোয়ারভাটা বলা হয়।
[ ] ফলাফল:
1. ভূমিক্ষয় ও সঞ্চয়:
জোয়ারে জল উঠলে উপকূল প্লাবিত হয় এবং ভাটায় মাটি ক্ষয় হয়ে নতুন ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়।
2. বন্দর গঠনে সহায়ক:
জোয়ারের সময় জাহাজ চলাচলের গভীর জল তৈরি হয়; ফলে উপকূলীয় বন্দর স্থাপন সহজ হয়।
3. বিদ্যুৎ উৎপাদন:
জোয়ারভাটার শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় (যেমন—দিঘায় প্রকল্পের পরিকল্পনা চলছে)।
4. মৎস্যচাষে উপকারী:
জোয়ারে পুষ্টিকর পলি জমে মাছ ও চিংড়ির প্রজনন বৃদ্ধি পায়।
5. পরিবেশের পরিবর্তন:
জোয়ারভাটার ফলে কিছু স্থানে মাটির লবণাক্ততা বাড়ে ও কৃষিকাজে প্রভাব ফেলে।
[ ] উপসংহার:
জোয়ারভাটা উপকূলীয় অঞ্চলের ভূমিরূপ, পরিবেশ ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।
৫.২ নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলি থেকে যে-কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
১. হিমালয়ের দৈর্ঘ্য বরাবর শ্রেণিবিভাগ
1. পশ্চিম হিমালয়
অবস্থান: জম্মু, কাশ্মীর ও হিমাচল প্রদেশে।
বৈশিষ্ট্য: পাহাড় সবচেয়ে উঁচু, চূড়াগুলো বরফে ঢাকা থাকে।
গুরুত্বপূর্ণ চূড়া: কাঞ্চনজঙ্ঘা।
নদী: ইন্ডাস ও তার শাখা নদীগুলোর উৎস।
পরিবেশ: শীতল আবহাওয়া, বরফে ঢাকা পাহাড়।
2. মধ্য হিমালয়
অবস্থান: নেপাল ও উত্তর ভারতের অংশ।
বৈশিষ্ট্য: পাহাড় তুলনামূলকভাবে ছোট, উপত্যকা ও নদী বেশি।
মানুষের বসতি: শহর ও দুর্গ।
কৃষি ও বন: চা বাগান এবং কৃষি সম্ভাবনা বেশি।
3. পূর্ব হিমালয়
অবস্থান: সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশ।
বৈশিষ্ট্য: পাহাড় সংকীর্ণ, নদী ও উপত্যকার সংখ্যা বেশি।
বৃষ্টি ও বন: বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টি, ঘন বন ও জীববৈচিত্র্য।
পরিবেশ: ছোট নদী ও পাহাড়ি রাস্তা বেশি।
২. ভারতের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য
1. মৌসুমি প্রকৃতি
বৃষ্টি মূলত বর্ষাকালে হয়।
শীতকালে অনেক অঞ্চল শুষ্ক থাকে।
2. তাপমাত্রার বৈচিত্র্য
গ্রীষ্মে দেশ উষ্ণ।
শীতে উত্তরের অঞ্চল শীতল, দক্ষিণ ও উপকূল স্থিতিশীল।
3. বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টি
নদী ও জলাধার পূর্ণ হয়।
কৃষি ও জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
4. ভৌগোলিক প্রভাব
উত্তরের অঞ্চল শীতল, দক্ষিণ ও উপকূলীয় অঞ্চলে উষ্ণ।
পাহাড় ও সমুদ্রের দূরত্ব তাপমাত্রা ও আর্দ্রতায় পার্থক্য আনে।
5. সমুদ্র ও স্থলের প্রভাব
উপকূলীয় অঞ্চলে আর্দ্রতা বেশি।
অভ্যন্তরীণ এলাকায় শুষ্কতা বেশি।
সমুদ্রের কাছাকাছি তাপমাত্রার পার্থক্য কম।
৩. ভারতের প্রধান কফি উৎপাদন অঞ্চল
ভারত কফি উৎপাদনের জন্য দক্ষিণ ভারতের পাহাড়ি ও উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে প্রসিদ্ধ। কফি মূলত উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ুতে ভালোভাবে উৎপাদিত হয়।
কর্ণাটক:
ভারতের সবচেয়ে বড় কফি উৎপাদনকারী রাজ্য।
বিশেষত কোগি ও চামরাজনগর অঞ্চলে কফি বাগান বেশি।
উচ্চতা, তাপমাত্রা এবং বর্ষাকালীন বৃষ্টি কফি চাষের জন্য উপযুক্ত।
তামিলনাডু:
পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে, যেমন নিলগিরি হিলসে কফি চাষ হয়।
পরিবেশ এবং মাটির ধরনের কারণে ভালো মানের কফি পাওয়া যায়।
কেরালা:
উপকূলীয় ও পাহাড়ি অঞ্চলে কফি উৎপাদিত হয়।
এখানে আর্দ্রতা বেশি হওয়ায় কফি গাছ ভালোভাবে বেড়ে ওঠে।
[ ] সংক্ষেপে: দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক, তামিলনাডু ও কেরালার পাহাড়ি ও আর্দ্র অঞ্চলগুলো কফি উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।
৪. জলপথকে ‘উন্নয়নের জীবনরেখা’ বলা হয়
জলপথ অর্থাৎ নদী, নদীযোগে সমুদ্রপথ বা অন্যান্য পানিপথ, মানুষের জীবন ও দেশের অর্থনীতির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
মানুষ ও পণ্যের পরিবহন:
জলপথ ব্যবহার করে মানুষ ও পণ্য দ্রুত ও সহজে একটি স্থানে অন্য স্থানে পৌঁছাতে পারে।
বিশেষত বড় ও ভারী পণ্য পরিবহনে নদী ও সমুদ্রপথ খুব কার্যকর।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন:
জলপথ ব্যবসা, কৃষি ও শিল্পের প্রসার ঘটায়।
বাণিজ্য সহজ হয়, ফলে দেশের অর্থনীতি উন্নত হয়।
সংযোগ ও যোগাযোগ:
দূরবর্তী অঞ্চলগুলোর সঙ্গে মূল শহর ও বাজারের সংযোগ বজায় থাকে।
তাই নদী ও সমুদ্রপথকে বলা হয় দেশের ‘উন্নয়নের জীবনরেখা’।
[ ] সংক্ষেপে: জলপথ মানুষ ও পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও বাণিজ্যিক উন্নয়ন ঘটায়।
৬। প্রশ্নপত্রের সঙ্গে প্রদত্ত ভারতের রেখামানচিত্রে নিম্নলিখিতগুলি উপযুক্ত প্রতীক ও নামসহ চিহ্নিত করে মানচিত্রটি উত্তরপত্রেরসঙ্গে জুড়ে দাও:
৬.১ ভারতের প্রধান প্রশাসনিক কেন্দ্র
৬.২ K2
৬.৩ পুলিকট হ্রদ
৬.৪ বছরে দুবার বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চল পর্ষদ প্রদত্ত প্রশ্ন,
৬.৫ একটি পলি মৃত্তিকা অঞ্চল
৬.৬ ভারতে অরণ্য গবেষণাকারী সংস্থা
৬.৭ ভারতের চা গবেষণাকেন্দ্র
৬.৮ দক্ষিণ ভারতের একটি জাহাজ নির্মাণকেন্দ্র
৬.৯ ভারতের সর্বাধিক জনঘনত্বপূর্ণ রাজ্য
৬.১০ পূর্বউপকূলের একটি স্বাভাবিক বন্দর

পোস্ট পড়ার পর ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না ।
( After reading post not forgetting comments. ) 👆