৯ জুলাই ছুটি? স্কুল-কলেজ-অফিস সব বন্ধ? নবান্ন কী বলছে? জানুন পুরোটা!July 9 holiday? Schools, colleges, offices all closed?

 অবশেষে স্বস্তি! দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার আগমন, স্কুল ছুটি আর নয়... নাকি বাড়ছে? Wb summer vacation 2025

নিজস্ব সংবাদদাতা: কলকাতা:  প্রচণ্ড গরমের হাত থেকে অবশেষে মুক্তি পেতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ। আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার আগমন প্রায় নিশ্চিত। মঙ্গলবার অথবা বুধবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গে শুরু হতে পারে বর্ষার বৃষ্টি। তাহলে কি স্কুল ছুটি আর থাকছে না? নবান্নের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, হ্যাঁ, আর স্কুল ছুটি থাকছে না!

কিন্তু এরই মধ্যে অন্য একটি খবর ছড়িয়েছে: ২৬শে জুন পর্যন্ত নাকি গরমের ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে! সত্যিই কি গরমের ছুটি বাড়ছে? এই খবরটি কি নিছকই গুজব, নাকি এর পেছনে কোনো সত্যতা আছে?

আসলে, গরমের ছুটি বাড়ানোর খবরটি বিভ্রান্তিকর। আবহাওয়া দপ্তর যখন দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার শুভারম্ভের কথা বলছে এবং বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে, তখন ছুটি বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা থাকে না। নবান্নের সর্বশেষ নির্দেশিকা অনুযায়ী, আপাতত স্কুল খোলার দিকেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, যা তীব্র গরমের আবহে সাময়িক ছুটির পর স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানোর ইঙ্গিত দেয়।

এতদিন উত্তরবঙ্গে আটকে থাকার পর, অবশেষে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু তার যাত্রা শুরু করতে চলেছে। মৌসম ভবনের পূর্বাঞ্চলীয় শাখার উপ-মহাধ্যক্ষ সোমনাথ দত্ত রবিবার এই আশার কথা শুনিয়েছেন।
সাধারণত ১ জুন দেশে বর্ষা প্রবেশ করলেও, এ বছর ২৪ মে কেরালায় বর্ষার আগমন ঘটেছিল। উত্তরবঙ্গে ৭ জুনের বদলে ২৯ মে-তেই বর্ষা প্রবেশ করায় দক্ষিণবঙ্গবাসীর মনেও আশার সঞ্চার হয়েছিল। 

তবে উত্তরবঙ্গে প্রবেশের পর মৌসুমী বায়ু থমকে যাওয়ায় অপেক্ষার প্রহর গুণতে হচ্ছিল।
আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে একই সাথে দুটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে একটি বাংলাদেশের দক্ষিণ দিকে এবং অন্যটি অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব উপকূলের কাছে অবস্থান করছে। এই জোড়া ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে রবিবার রাত থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। 

আজ থেকে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি। আবহাওয়াবিদরা আগেই জানিয়েছিলেন, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া কোনো 'ওয়েদার সিস্টেম'ই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর থমকে যাওয়া অবস্থা পরিবর্তন করতে পারে। শেষ পর্যন্ত একটির বদলে দুটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ায় দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা নামার পথ সুগম হয়েছে।

এই বর্ষার আগমনে একদিকে যেমন তীব্র গরম থেকে রেহাই মিলবে, তেমনই অন্যদিকে জনজীবন স্বাভাবিক হবে এবং কৃষিক্ষেত্রেও সুফল আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাই আর স্কুল ছুটির ঘোষণা না করে, ছাত্র-ছাত্রীরা এবার নিয়মিত স্কুলে যেতে পারবে। ২৬শে জুন পর্যন্ত ছুটি বাড়ানোর খবরটি  সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ।